আবারও বাড়তে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি!

সরকারি সাধারণ ছুটি বাড়ানো না হলেও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও দীর্ঘয়িত করা হবে বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোপূর্বে সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেটাকেই তারা যথাযথ দিকনির্দেশনা বলে মনে করছেন। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম বিদ্যমান অবস্থায় রাখা এবং ছাত্রছাত্রীদের বাসায় রেখে লেখাপড়ার ব্যবস্থা বা বিকল্প পাঠদানের চিন্তা চলছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার -২৭ মে বলেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের ভালোর জন্য পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা চলছে। এ সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী ঘোষণা আসবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো এখনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, বরং আরও কতদিন ছুটি বাড়ানো হবে সেটি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা আগে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেব। আগে জীবন, এরপর লেখাপড়া। ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেটাই বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা বলে আমরা মনে করছি। আগামী ৫ জুন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি রয়েছে। তার আগেই আমরা এ নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো।

‘এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা করতে হবে। তবে করোনাভাইরাসের যে সংক্রমণ পরিস্থিতি তাতে জুন মাসটা মনে হচ্ছে টার্নিং পয়েন্ট। ঈদের ছুটির কারণে সংক্রমণে কী প্রভাব পড়ে সেটাও দেখতে হবে’।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক “কলেজ ও প্রশাসন” অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, করোনা বিস্তার কমে গেলে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে। আগের মতো করে স্বাভাবিক নিয়মে ক্লাসসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে না।