আবার পুড়ছে গ্রাম, আসছে রোহিঙ্গারা

মায়ানমারের রাখাইনে আবার রোহিঙ্গা গ্রাম পোড়াচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত রোববার থেকে নতুন করে এসব গ্রামের বাসিন্দারা পালিয়ে আসতে শুরু করেছে বাংলাদেশ

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববারের পরে অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে এসেছে। এই ঘটনায় ইউএনএইচসিআর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

এদিকে সর্বশেষ প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতেও দেখা গেছে রাখাইনে ২৮৮টি গ্রাম পুড়ে ছাঁই হওয়ার চিত্র। এ বিষয়ে হিউম্যান রাইট ওয়াচ বলছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বসত বাড়িতে হাজার হাজার অবকাঠামোকে ঘিরে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণে দেখা যায়,মায়ানমার সেনাবাহিনী ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ বন্ধ হয়েছে এমন ঘোষণার পরেও রোহিঙ্গা গ্রামে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বরে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির বক্তব্য অনুযায়ী , ৫ তারিখে নিরাপত্তা বাহিনীর অপারেশন সমাপ্ত ঘোষণার পর কমপক্ষে ৬৬টি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

হিউম্যান রাইট ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক সহকারি পরিচালক পিল রবার্টসন বলেন, ছবিগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায় মাত্র চার সপ্তাহের ব্যবধানে কেন অর্ধ মিলিয়ন রোহিঙ্গা মুসলিম দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সেনাবাহিনী শতাধিত গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার সময় হত্যা,ধর্ষণ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটনের কারনে রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসে।

রাখাইন রাজ্যের মংডু, রাথেডং, বুথিডং শহরের ৮৬৬টি গ্রাম নিরীক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য জানিয়েছে হিউম্যান রাইট ওয়াচ। সবচেয়ে বেশি ধ্বংশযজ্ঞ চালানো হয়েছে মংডুতে। যেখানে গত ২৫ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা ধ্বংস করা হয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য মতে, গত ২৫ আগস্ট আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’র (আরসা) হামলার জবাবে রাখাইনে জাতিগত নিধন শুরু হয়। এতে প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম প্রান বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৭ অক্টোবর ২০১৭