আবাসন সংকটে ঢাকা ছাড়েন চাকরিপ্রার্থী নারীরা!

রাজধানী কিংবা দেশের বড় শহরগুলোতে নিরাপদ আবাসন না থাকার কারণে চাকরি অন্বষেণকারী শিক্ষিত নারীরা চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ হারাচ্ছে। সম্প্রতি ইউএনবি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

ফারজানা ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তিনি রোকেয়া হলের একজন আবাসিক ছাত্রী ছিলেন। মাস্টার্সের থিসিস পেপার জমা দেওয়ার পর ফারজানাকে হলের সিট ছাড়তে হলো। তিনি ঢাকাতে সাবলেট থাকাকে নিরাপদ মনে করলেন না। তিনি তার বাড়ি কিশোরগঞ্জে চলে গেলেন। কয়েকমাস পর তার বিয়ে হয়। তিনি গৃহিনী জীবন শুরু করেন।

এভাবে তার কাঙ্খিত পেশায় ঢোকার স্বপ্নের মৃত্যু হয়। এটি শুধু ফারজানার নয়, এই গল্প শত শত নারী গ্রাজুয়েটের। তারা শুধুমাত্র আবাসন সংকটের কারণে ঢাকা ছাড়ছেন। আর অন্যদিকে হারাচ্ছেন স্বপ্নের পেশাতে প্রবেশের সুযোগ।

জানা যায়, সারদেশে পেশাজীবি নারীদের জন্য সরকার পরিচালিত হোস্টেল আছে কেবল ৭টি। এরমধ্যে ঢাকায় আছে ৩টি। ঢাকার এই ৩টি হোস্টেলে পেশাজীবী নারীদের জন্য সিট আছে ৮৮৬টি। কিন্তু পেশাহীন নারীর জন্য কোনো সিট নেই সেখানে।

নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরো চুমকি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীনে পেশাজীবি নারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু চাকরি অন্বেষণকারী নারীদের জন্য এখন অবধি কোনো ধরণের আবাসন গড়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই ।

চাকরি অন্বেষণকারী নারীদেরকে সাবলেট, বেসকারি হোস্টেলে থাকতে হয়। সেখানে আশানুরুপ নিরাপত্তা না থাকায় অনেকে ফিরে যান বাড়িতে। পরবর্তীতে বিয়ের পিড়িতে বসে হয়ে পড়েন সংসারি। আর এভাবেই বাংলাদেশে শিক্ষিত নারীরা চাকরিতে না ঢুকে পুরোদস্তুর হয়ে যান গৃহিনী।

আজকেরবাজার/এমআর/এস