আমদানিতে শিথিল হলেও, দেশীয় চালে পাটের বস্তা বাধ্যতামূলক

চাল আমদানিতে পাটের বস্তা ব্যবহারের সরকারি বাধ্যবাধকতা তিন মাসের জন্য শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে দেশের চাল বাজারজাত করতে পাটে বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকবে।

২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাল আমদানিতে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের (পিপি) ব্যাগ ব্যবহার করতে পারবেন আমদানিকারকরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন মাসের জন্য আমদানি করা চাল আনতে চটের বস্তা ব্যবহারে সরকারি বাধবাধকতা শিথিল করা হয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে আমদানি করা চালের বস্তায় ‘আমদানিকৃত’ সিল থাকতে হবে। অন্য কোনও পণ্য বাজারজাতের ক্ষেত্রে এ প্রজ্ঞাপন কার্যকর নয়।

তিনি বলেন, দেশের ভেতরে চাল বাজারজাত করতে চটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকবে।

এসময় গত রোববারের সভায় চাল ব্যবসায়ীরা পাটের বস্তা নিয়ে মন্ত্রীদের ভুল বুঝিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

মির্জা আজম বলেন,অনেক চাল মিল মালিকের প্লাস্টিকের (পিপি) ব্যাগ তৈরির কারখানাও রয়েছে। তাই মন্ত্রীদের ভুল ব্যখা দিয়ে কারখানাগুলো আবার চালু করতে চাইছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারে চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা কমতে পারে। চটের বস্তায় খরচ হয় ২৪ টাকা। আর একটি প্লাস্টিকের বস্তায় খরচ হয় ২৫ টাকা। সুতরাং প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা কিভাবে চালের দাম কমাবেন?’

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭