আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসে চালু হচ্ছে এইও

স্বল্প সময়ে ও কম খরচে ঝামেলাহীনভাবে আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসে বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা দিতে ‘অথোরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও)’ শিগগিরই পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার লক্ষেই এই বিশেষ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। দেশের ব্যবসাখাতের ব্যাপ্তি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের কাস্টমকেও এই ক্রমবর্ধমান খাতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। কাস্টমের আধুনিকায়নে আমাদের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া।

বুধবার ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘এইও’ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এনবিআর সদস্য (শুল্ক নিরীক্ষা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) খন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান, এনবিআরের এইও কমিটির প্রধান প্রকাশ দেওয়ান, ইউএসএইডের ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাক্টিভিটিজের (বিটিএফএ) ড. মুহাম্মদ খাইরুজ্জামানসহ রাজস্ব প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সফলভাবে হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি আরও বাড়াতে এবং সহজতর করতে এইও পাইলট প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে কোম্পানিগুলোকে এইও মর্যাদা দেওয়ার কাজ খুব দ্রুত শুরু করবো। আশা করি, এইও নিয়ে আমাদের পথচলা সুগম হবে। এতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো এগিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অতীত রেকর্ড ভালো, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনা ও শুল্ক ফাঁকিসহ অন্য কোনো অভিযোগ নেই এবং আর্থিক ও কারিগরিভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবসায়ীদের অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর-এইও হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

এইও ঘোষিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বন্দর থেকে দ্রুত ও অপেক্ষাকৃত কম পরীক্ষায় পণ্য খালাসের সুবিধা পাবে। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টির বাধ্যবাধকতায় নমনীয়তা ও বাকিতে কার্যক্রম সম্পন্ন করার মতো সুবিধাও পাবে।

এইও তালিকায় নাম তুলতে ব্যবসায়ীদের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না জানিয়ে ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার ও এনবিআরের এইও কমিটির প্রধান প্রকাশ দেওয়ান বলেন, ‘যারা এইও তালিকায় থাকবেন,এই সুবিধা তাদের ব্র্যান্ডিং করে দেবে। এটা প্রমাণ করবে যে তারা নীতিমালা মেনে ব্যবসা করছেন, কর ফাঁকি দিচ্ছেন না, যা দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীমহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।

আগামী জানুয়ারি মাসে প্রাথমিকভাবে দুইটি ওষুধ কোম্পানির জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এইও সুবিধা শুরু হতে যাচ্ছে। ২০১৯ নাগাদ এইও সুবিধা পুরোদমে চালু করা সম্ভব হবে বলে এনবিআর কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন।

আজকের বাজার : এলকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭