আমরা কারো হুমকি সহ্য করি না : যুক্তরাষ্ট্রকে তুরস্ক

সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে এক মার্কিন ধর্মযাজককে আটকের ঘটনায় ওয়াশিংটন-আঙ্কারার মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুদেশের কর্মকর্তারা পরস্পরের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছেন।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, তুরস্ক কারো কথায় চলে না। আমরা কখনো কারো হুমকি সহ্য করি না। আইনের শাসন সবার জন্য সমান। এখানে কোনো ব্যতিক্রম নেই।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় লিখেছিলেন, ধর্মযাজক অ্যান্ড্রিউ ব্রানসনকে দীর্ঘদিন ধরে আটক রাখার পরিণতিতে তুরস্কের ওপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে আমেরিকা। তিনি তুরস্কে আটক মার্কিন খ্রিস্টান ধর্মযাজকের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন।

তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষিত দুটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করার দায়ে তুরস্কের আদালতে ৫০ বছর বয়সি মার্কিন যাজকের বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ৩৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

ওই দুই কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একটি হচ্ছে আমেরিকা প্রবাসী বিরোধী নেতা ফতেউল্লাহ গুলেনের রাজনৈতিক দল। ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে গুলেনের হাত ছিল বলে অভিযোগ করছে তুর্কি সরকার। গুলেন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মার্কিন যাজকের বিরুদ্ধে অপর যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি হচ্ছে, কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে। গত কয়েক দশক ধরে কুর্দিদের জন্য আলাদা আবাসভূমির দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন করে যাচ্ছে এই গোষ্ঠী।

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির শহরে একটি প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জা পরিচালনা করতেন মার্কিন যাজক ব্রানসন। সম্প্রতি তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি করার হলেও ওয়াশিংটন এ পদক্ষেপকে যথেষ্ট মনে করছে না।

আজকের বাজার/এমএইচ