৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন জমা নেওয়া আমরা নেটওয়ার্কসের লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আমরা নেটওয়ার্কসের আইপিওতে ১৮ দশমিক ০৭ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। এর আগে গত ৬ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হয়। গত ১৩ জুন বিএসইসির ৬০৬ তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিএসইসির তথ্য মতে, কোম্পানিটি এই পদ্ধতিতে ১ কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার ২০৯টি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৫৬ কোটি ২৫ লাখ ৭ টাকা তুলবে। এ শেয়ারের মধ্যে ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৬টি শেয়ার পাবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা; যা মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ। ৩৫ টাকা দরে এই শেয়ার বিক্রি হবে। এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২১ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫১০ টাকা সংগ্রহ করা হবে। বাকি ৬০ শতাংশ বা ৯০ লাখ ১৪ হাজার ৪২৩টি শেয়ার পাবে মিউচ্যুয়ালসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৫ কোটি ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৭ টাকা।
আইপিওতে আমরা নেটওয়ার্কসের মার্কেট লট ১০০ শেয়ার নিয়ে। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী একক নামে ১০০ শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর যৌথ নামের আরেকটি বিও হিসাবের বিপরীতে আরও ১০০ শেয়ারের জন্য আবেদন করা যাবে। প্রতি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে ৩৫০০ টাকা। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানির বিএমআরই (আধুনিকায়ন), ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াই-ফাই হটস্পট প্রতিষ্ঠা করা, আইপিওর কাজ ও ঋণ পরিশোধ করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর,২০১৫ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ১৬ পয়সা; শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ২১ টাকা ৯৮ পয়সা। আর ৫ বছরের ইপিএসের গড় করলে হয় ২ টাকা ৫২ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত নিরীক্ষিত হিসাব (৬ মাসের) অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস ১ টাকা ৬৮ পয়সা; আর এনএভি ২৩ টাকা ৬৬ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে আইপিওর দুই ধরনের পদ্ধতি আছে। একটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি এবং অন্যটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতি। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি নিজেই শেয়ারের দর প্রস্তাব করে। ওই দর যৌক্তিক মনে করলে অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে কোম্পানির আইপিও অনুমোদন করা হয়। অন্যদিকে, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রিমিয়ামের বিষয়ে অনেকটা রক্ষণশীল বলে অনেক কোম্পানি মনে করে তারা শেয়ারের যৌক্তিক মূল্য পাচ্ছে না- তবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে এই দর পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়।
আজকের বাজার : এমএম / ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭