আমার ছেলের মাথা থেকে একটা ‘বোঝা’ নেমে গেল :মুশফিকের বাবা

রবার্ট ব্রুসকে সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল সাতবার। আর মুশফিকুর রহিমকে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য দিন গুনতে হয়েছে প্রায় চার বছর। ২০১৬-র ২৩ মার্চের কথা স্মরণ করলে এখনও আঁতকে ওঠেন মুশফিকুর রহিম। ৩ বলে ২ রান! টি২০ বিশ্বকাপে ভারত-জয়ের আগাম সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন। তবে অভিশপ্ত ম্যাচে মুশফিকুরের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ জয়ের সীমান্ত পেরোতে পারেনি। রাতারাতি ট্র্যাজিক হিরোর তকমা সেঁটে গিয়েছিল মুশফিকের জার্সিতে। আলোর গোলার্ধ থেকে অতলান্ত আধাঁর নেমে এসেছিল মুশফিকের ক্রিকেট সংসারে।

অবশ্য মুশফিককে ফের একবার পুরনো ভুল সুদে আসলে মিটিয়ে ফেলার সুযোগ এনে দিয়েছিলেন রবিবার।ভারতের রাজধানী শহরে। এবারে অবশ্য বাংলার কোটি কোটি ক্রিকেট সমর্থকদের হতাশ করেননি। দায়িত্ব নিয়ে ক্রিজে টিকে ম্যাচ ফিনিশ করে এসেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৩ বলে ৬০ রান! পাশাপাশি ভারতের তরুণ বোলারদের শাসন করেছেন। অধিনায়ক মাহমুদ্দুল্লা ছক্কা হাকিয়ে ফিনিশিং টাচ দিলেও নায়ক একজনই- মুশফিকুর রহিম। বেঙ্গালুরুতে যে কলঙ্কের সূচনা, তারই যেন সমাপ্তি দিল্লিতে এসে! ম্যাচের সেরাও তিনি।

কেমন ছিল দুঃস্বপ্নের সেই দিনগুলো? বগুড়া থেকে মুশফিকুরের বাবা মাহবুব হামিদ প্রতিনিধিকে বললেন, “আমার ছেলের মাথা থেকে একটা ‘বোঝা’ নেমে গেল। বেঙ্গালুরুতে সেই ম্যাচ আমাদেরই জেতার কথা। ৩ বলে ২ রান, এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ কেউ হারে? কিন্তু মুশফিক সেদিন পারেনি। এই ওর ব্যক্তিগত জীবনে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছিল। টানা তিন মাস ঘুমোতে পারেনি। চেনাশোনা সাংবাদিকদের সঙ্গেও বহুদিন কথা বলাও বন্ধ রেখেছিল। দিল্লির ইনিংসটা আসলে মুশফিকের মাথা থেকে বড় একটা ‘বোঝা’ নামিয়ে দিল।”
সূত্র: আইইবি

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান