আমার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে: শোয়েব আখতার

দানিশ কানেরিয়া, শোয়েব আখতার। দুটো নাম যেন এখন পাকিস্তান ক্রিকেটে সব থেকে আলোচিত নাম। দুই প্রাক্তন তারকা স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছেন নিজেদের দিকে। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে এক শো-য়ে বসে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন আখতার। বলেছিলেন, দানিশ কানেরিয়া হিন্দু হওয়ায় তাঁর সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খেতে চাইতেন না পাকিস্তান দলের একাধিক তারকা। তাঁর এমন বিস্ফোরণের পর পাকিস্তান ক্রিকেট তোলপাড়। ইতিমধ্যে এত বছর পর অন্তরাল থেকে আলোয় ফিরে এসেছেন কানেরিয়া। তিনিও আখতারের প্রতিটি বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন।

শোয়েব আখতারের এমন মন্তব্যের পর অনেকেই পাকিস্তানের ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম একাধিক খবর প্রকাশ করেছে। হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু ইমরান খানের সরকার যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছে। পাকিস্তানে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাতাবরণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইমরান খান। কিন্তু তাঁর সেই বিবৃতি এখন অনেকেই মানছেন না। কানেরিয়ার উদাহরণ তুলে পাকিস্তানের ভিনধর্মীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

শোয়েব আখতার আরও একবার সামনে এলেন। কানেরিয়া-কাণ্ডে এবার তাঁর বক্তব্য, তিনি যা বলেছেন সেই বক্তব্য থেকে এক চুলও সরছেন না। তবে তিনি পাকিস্তানের সংস্কৃতি নিয়ে কোনও কথা বলেননি বলে দাবি করেছেন। শোয়েব আখতার দাবি করেছেন, ”আমি যেটা বলেছি তা দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে। এমন ক্রিকেটারদের সারা বিশ্বে পাওয়া যায় যাঁরা বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করে বসে। আমি সেই অপসংস্কৃতি পাকিস্তান দলে জারি করতে দিইনি। আর আমি কখনওই পাকিস্তানের সংস্কৃতি নিয়ে কোনও কথা বলিনি। আমার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে অনেক জায়গায়। পাকিস্তান মুসলিম, হিন্দুসহ যে কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আপন করার মতো দেশ।”

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান