‘কোচরা চেয়েছেন আমি যেন বাইরে বাইরে ফিল্ডিং করি। কারণ, আমি নাকি ফিল্ডার হিসেবে ভাল না। আমি সামনে থাকলে নাকি রান হয়ে যায়। বা আমার হাতে ক্যাচ-ট্যাচ আসলে নাকি (ধরার) চান্স থাকে না। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা বলবে, সেটা তো আমাকে করতে হবে।’ দিন শেষে এমন অভিমানী কণ্ঠ টাইগার দলনেতা মুশফিকুর রহিমের।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৩ উইকেটে ৪২৮ রান। বোলিং ব্যর্থতার দিনে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ অধিনায়কের টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে পুরো দায় নিজের কাঁধে নিলেন মুশি। ‘অবশ্যই এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা। আমি হয়তো দলকে সেভাবে উৎসাহ দিতে পারছি না। বা বোলারদের সেভাবে গাইড করতে পারছি না। বোলাররা চেষ্টা করছে হয়তোবা, হয়নি। এটা আমার ব্যর্থতা।’
টস জেতাকেই ভুল মনে করছেন মুশফিক। ‘আমার তো মনে হচ্ছে, টসে জেতাটাই ভুল হয়ে গেছে ভাই। শেষ দুইটা ম্যাচে যা হচ্ছে, জীবনে কখনও এমন হয়নি-মনে হচ্ছে টস হারলেই ভালো হয়।’
নতুন বলটা ব্যবহার করতে পারলে শুরুতেই দুই-তিনটা উইকেট নেয়া সম্ভব ছিল, ধারণা মুশফিকুর রহিমের। ‘অনেক বড় একটা সুযোগ ছিল। ওরা যদি নতুন বলটা ব্যবহার করতে পারত, তাহলে শুরুতে দুই-তিনটা উইকেট পড়তে পারতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হয়নি, এর বেশি আর কিছু বলার নেই।’
‘বোলিংয়ের জন্য শুরুতে এটা খুব ভালো উইকেট ছিল। কিন্তু আমাদের বোলাররা সেই সুবিধাটা নিতে পারেনি। প্রথম সেশনে আমরা অনেক রান দিয়েছি। হয় ওরা খুব ফুল লেংথে বল করেছে নয়তো অনেক বেশি টেনে করেছে। ওরা সঠিক-লাইন লেংথ খুঁজে পায়নি প্রথম সেশনে।’ মন্তব্য মুশফিকের।
কোচ মাঠে গিয়ে বোলিং করবেন না বলেছেন মুশি। ‘আমাদের এতো ভালো ভালো কোচ আছে। এখন আমাদের বোলিং কোচ নিজে গিয়ে তো আর মাঠে বোলিং করবেন না। কেউ যদি শিখতে না পারে, বাস্তবায়ন না করতে পারে, সেটাকে আমি আমাদের ব্যর্থতা বলব।’
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৭ অক্টোবর ২০১৭