আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ: খালেদা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

‘মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নূর আহমেদ আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ না পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেননি। কিন্তু মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

এদিন আদালত জানতে চান এই মামলায় খালেদা জিয়া নিজেকে দোষী নাকি নির্দোষ মনে করেন- জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

খালেদা জিয়া বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি আরও বক্তব্য দেবেন এবং প্রয়োজনে কাগজপত্র দাখিল করবেন। পরে বক্তব্য অসমাপ্ত থাকায় আদালত আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। কিন্তু খালেদার এ আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত।

উল্লেখ, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৩ নভেম্বর ২০১৭