আম উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে মৌসুমী এ ফলের।
আজ ২৪ মে বুধবার রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘আমের বাজারজাতকরণে নীতি সহায়ক পরিবেশ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় এমন তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যান বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ইউএসএআইডির এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রজেক্ট যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী শফিউল হক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ড. আব্দুর রহিম বলেন, বাংলাদেশে আম পাকানোর জন্য ফরমালিন ব্যবহার করা হয় না। কারণ আম পাকানো ও সংরক্ষণে ফরমালিন কোনো কাজে আসে না।তিনি বলেন, প্রাকৃতিকভাবে আমে ১.২২ থেকে ৩.০৮ পিপিএম পরিমাণের ফরমালিন থাকে; যা আমকে পাকতে সাহায্য করে।
আব্দুর রহিম বলেন, আমাদের দেশে সঠিক সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে আহরণের পর প্রায় ৩৩ শতাংশ আম নষ্ট হয়ে যায়।
ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি ও ডিসিসিআই-ডাই প্রকল্পের প্রধান মো. শোয়েব চৌধুরী বলেন, ফরমালিন ব্যবহারের ভুল ধারণার কারণে ২০১৩ সালে প্রচুর পরিমাণের আম ধবংস করা হয়েছিল। এছাড়া সে সময় আমে ফরমালিন চিহ্নিতকরনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সঠিক ছিল না।
সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী শফিউল হক বলেন, জনগনের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ হতে আম উৎপাদনে নিয়োজিতদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার ফলে রাজশাহীর পর সাতক্ষীরা বর্তমানে আম উৎপাদনের এলাকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
আলোচনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এ হাসেম, বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন অংশগ্রহণ করেন।
ইউএসএআইডির এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রকল্পের প্রধান মাইকেল ফিল্ডসহ অন্যান্য অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২৪মে ২০১৭