মায়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির নূর হোসেইন কাশেমী বলেছেন, ‘যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলিম ভাইদের নির্যাতন করা হচ্ছে, তার একমাত্র সমাধান আরাকানের স্বাধীনতা। কূটনৈতিকভাবে আরাকান স্বাধীন করা না গেলে, সামরিক অভিযান চালিয়ে আরাকান স্বাধীন করতে হবে।’
১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার হেফাজতে ইসলামীর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বায়তুল মোকাররমে মায়ানমার দূতাবাস ঘেরাওপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মলেনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী মায়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে একটি মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। শান্তিনগর মোড়ে যাওয়ার পর মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা নূর হোসেইন কাশেমীর নেতৃত্বে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হেফাজতের ঢাকা মহানগরীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী, আব্দুর রব ইউসুফীসহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মায়ানমার দূতাবাসে স্মারকলিপি জমা দেন।
এর আগে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বায়তুল মোকাররমের সামনের রাস্তা অবরোধ করে, জড়ো হতে থাকেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নূর হোসেইন কাশেমী বলেন, আরাকান স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে মায়ানমার অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কাশেমী বলেন, আরাকান স্বাধীন করার উদ্যোগ নেয়া হলে, বাংলাদেশের ষোল কোটি তৌহিদী জনতা সরকারের পাশে থাকবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ ও ওআইসির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করবেন। হেফাজতে ইসলাম সরকারের পাশে থাকবে।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন ও অব্যাহত গণহত্যা চলছে তার ভয়াবহ চিত্র আমরা দেখেছি। সরকারকে বলব সেনাবাহিনী মোতায়েন করে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।
আজিজুল হক বলেন, ‘সরকারের নতজানু নীতির কারণে মায়ানমার বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করার সাহস পাচ্ছে। তারা বারবার সীমান্ত অতিক্রম করছে কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তেমন প্রতিবাদ হচ্ছে না। মায়ানমার সীমান্ত খুলে দিন। আরাকান স্বাধীন করতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে না।’
হেফাজতের ঢাকা মহনগরীর নায়েবে আমির আব্দুল রব ইউসুফী বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানাই রোহিঙ্গাদের অস্ত্র দিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধ করতে পাঠান। সরকার যদি তাদের প্রেরণ না করে, মায়ানমার দূতাবাস বন্ধ না করে, তবে তৌহিদী জনতা বসে থাকবে না। আরাকান স্বাধীন না করে বাংলার যুবকরা থামবে না।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭