ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মতো আরেকজন যোগ্য নেতা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন; এটা আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
টিভি ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।
শনিবার ২ নভেম্বর দুপুরে আনিসুল হকের বনানীর বাসায় শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এসে এক প্রতিক্রিয়ায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক ও ওবায়দুল কাদের পৈত্রিক বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নোয়াখালীতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সংবর্ধনাও দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘আমি তাঁর পরিবারেরও সদস্য ছিলাম। তাঁর মতো অমায়িক মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। আমরা একই এলাকার বাসিন্দা। গত বছর আনিসুল হককে নোয়াখালীতে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সেখানে লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। আজও সেই সংবর্ধনার ছবি আমি নিজের এলাকায় গেলে দেখতে পাই।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হকের ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল শফিউল হক উপস্থিত ছিলেন। আনিসুল হকের সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী রুবানা হক ও ছেলে নাভিদুল হক।
স্ত্রীর সঙ্গেই গত ২৯ জুলাই পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে যান। পরে সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান এই গুণী ব্যবসায়ী নেতা ও টিভি ব্যক্তিত্ব।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২ ডিসেম্বর ২০১৭