আরো ১২ টি নতুন কর অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত

শাহ্জাহান সাজু: কর সেবা করদাতাদের দোঁড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে আরো ১২ টি নতুন কর অঞ্চল স্থাপন করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে আয়করকে চিহ্নিত করে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা বাড়ানোর নানা উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে করদাতার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর অংশ হিসেবে দেশের ৫০ লাখ মানুষকে ২০২১ সালের মধ্যে করজালের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

অন্যদিকে বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ৩০ লাখ ৫০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ৩১ টি কর অঞ্চলের অধীনে ৬৪৯ টি সার্কেল অফিস রয়েছে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ইলেকট্রনিক্স কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিবন্ধন করেছেন ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৪০৫ জন। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করায় নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতি মাসে অন্তত ৫০ হাজার নতুন করদাতা ই-টিআইএন নিবন্ধন করছেন। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মধ্যে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা ৩৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।

করজাল সম্প্রসারণে সরকারের কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে এনবিআরের জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা বলেন, রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে আয়করকে চিহ্নিত করে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা বাড়ানোর বিশেষ ইতিমধ্যেই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশের ৫০ লাখ মানুষকে ২০২১ সালের মধ্যে করজালের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস স্থাপন এবং কর জরিপ কার্যক্রম আরো গতিশীল করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সহজ বাংলায় নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপনের আগেই নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখ নিয়ে যেতে হলে হলে প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষকে নতুন করে করজালের আওতায় আনতে হবে। অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে নতুন করে আরো ১৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে করজালের আওতায় আনতে হবে। এজন্য করজাল সম্প্রসারণে কর দিতে সক্ষম-এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ কর দিতে সক্ষম এমন অনেকেই এখনও করজালের বাইরে রয়ে গেছেন বলে মনে করেন তিনি। তাদের করজালের আওতায় আনা হবে।

সূত্র জানায়, আয়কর বিভাগকে যেভাবে অটোমেশন করা হয়েছে, তাতে আগামীতে করযোগ্য কেউ আর করজালের বাইরে থাকতে পারবেন না। তবে দেশে বর্তমানে ৩০ লাখ ৫০ হাজার ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা হলেও প্রতি করবর্ষে নিয়মিত আয়কর বিবরনী জমা দেন মাত্র ১২ থেকে ১৪ লাখ ব্যাক্তিশ্রেণীর করদাতা।

আজকের বাজার: ওএফ/এলকে/ ২০ ডিসেম্বর ২০১৭