দেশের আরও ৫ নদীর উপর নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। নদীগুলো হলো- মেঘনা, তেতুলিয়া, পায়রা, কালাবদর ও কারখানা। এসব নদীর উপর সেতু নির্মাণের সম্ভ্যাবতা যাচাই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সেতু বিভাগ সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর, নবীনগর সড়কে মেঘনা নদী, বরিশাল-ভোলা সড়কে কালাবদর ও তেতুলিয়া নদী, পটুয়াখালী-আমতলী-বরগুনা সড়কে পায়রা নদী, বাকেরগঞ্জ-বাউফল সড়কে কারখানা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
১২ জুলাই বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সেতু বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসব নদীর উপর সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজটি করবে- স্টুপ কনসালট্যান্টস লিমিটেড (ভারত), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট লিমিটেড, ফি এন্ড ই লিমিটেড । এতে ব্যয় ধরা হয়েছে-৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, মেঘনা নদীর ওপর দুই কিলোমিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত এ সেতুটি নির্মাণ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রান্তে কড়িয়াকান্দি এবং ঢাকার প্রান্তে থাকছে গোপালদি। সেতুটি নির্মিত হলে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হোমনা, তিতাস, মুরাদনগর এবং নবীনগরসহ আটটি উপজেলার যোগাযোগ সহজ হবে। সহজ হবে আখাউড়া-আগরতলা যোগাযোগ। দূরত্ব কমবে অন্তত ২৭ কিলোমিটার।
প্রস্তাবিত পায়রা সেতু সেতু নির্মিত হলে বরগুনা জেলার সঙ্গে পটুয়াখালী ও বরিশালসহ ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
কারখানা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এ সেতুটি নির্মিত হলে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার সঙ্গে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে।
আর বরিশাল ও ভোলার মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মিত হলে ভোলার সঙ্গে বরিশাল, ঢাকাসহ অন্য জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে।
আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১৩ জুলাই ২০১৭