আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও সঠিক পথেই আছে ইউনাইটেড

করোনা ভাইরাসে বিশ্বের প্রায় সব বড় ক্লাবের মতই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এ কারণে ক্লাবটিকে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইউনাইটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এড উডওয়ার্ড।

করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্লাবের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন কাল প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড। সেখানে দেখা গেছে বিশ্বব্যপী অতিমারি সত্ত্বেও গত মৌসুমে প্রায় পুরোটাই ভালভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এই অর্থ বছরে ইউনাইটেড সর্বমোট রাজস্ব হারিয়েছে ২.৯ শতাংশ। এই সময়ে ক্লাবের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৯৪.১ মিলিয়ন পাউন্ড। এর মধ্যে ম্যাচের দিন ৯০ শতাংশেরও বেশী প্রতিদিন ক্ষতি হয়েছে।

করোনা মহামারীতে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যালেন্ডারও সম্পূর্ণভাবে পাল্টে গেছে। প্রায় সব স্টেডিয়ামেই ম্যাচগুলো দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আর এর ফলে আর্থিক ক্ষতির পরিমান অনেকাংশেই বেড়েছে। ইউনাইটেডের ক্ষেত্রে অবশ্য সম্প্রচার রাজস্ব থেকে কিছুটা হলেও আয় হয়েছে। এ সময়ে যা ৮০ শতাংশ বেড়ে ২৫৪.৮ মিলিয়ন পাউন্ড হয়েছে। কিন্তু ম্যাচ ডে রাজস্ব থেকে আয় হয়েছে মাত্র ৭.১ মিলিয়ন পাউন্ড যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় ৯২ শতাংশ কম। ক্লাব জানিয়েছে করোনা মহামারীতে গত এক বছরে ক্লাবের সর্বমোট ৯২.২ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতি হয়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় যা ২৩.২ মিলিয়ণ পাউন্ড বেশী।

২০২১ সালের শেষে নিজের পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানো উডওয়ার্ড জানিয়েছেন মহামারীর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের খুঁজে বের করা ছিল ইউনাইটেডের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ। তিনি বলেন, ‘মহামারীর মধ্যে যখন আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হচ্ছিল তখনো আমরা পিছিয়ে পড়িনি। প্রত্যেকেই এ সময় ক্লাবকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করেছে। যে সহনশীলতা তখন প্রত্যেকের মধ্যে ছিল তা নিয়ে ক্লাবের গর্ব করা উচিত।’

উডওয়ার্ড আরো বলেন, ‘এ সময় বিশ্বব্যাপী টেলিভিশনে সরাসরি ফুটবল ম্যাচ উপভোগের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। সেটাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের নিজেদের সামর্থ্যের প্রতি আস্থা ছিল। ট্রান্সফার ফি ও খেলোয়াড়দের বেতন সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ সময় সামনে চলে এসেছে। কিন্তু আমরা সবকিছুই ঠান্ডা মাথায় সমাধান করেছি। সব পর্যায়ের খেলায় ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা প্রিমিয়ার লিগ, ইউরোপীয়ান ক্লাব এসোসিয়েশন ও উয়েফার সাথে কাজ করার ব্যপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

উডওয়ার্ড আরো বলেছেন ওলে গানার সুলশারের অধীনে দলটি যে সঠিক পথেই আছে তার প্রমান হলো ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, জেডন সানচো ও রাফায়েল ভারানের মত খেলোয়াড়দের এই মহামারীর মধ্যেই দলভূক্ত করা। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নেবার মত ক্ষমতা আমাদের আছে। প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতে জয়ী হয়ে ইউনাইটেড বর্তমানে প্রিমিয়রা লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান