অকল্যান্ডে বসেছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির বোর্ড সভা। সেই সভায় এসেছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুমোদন পেয়েছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও আইসিসি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপ।
দেড় বছর পর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে বসবে আইসিসি বিশ্বকাপের আগামী আসর। ঐ আসরের পর থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এতে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেটে আসছে বড়সড় এক পরিবর্তন।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে শুরু হবে টেস্ট লিগ, যেখানে অংশ নেবে টেস্ট র্যাংআকিংয়ের সেরা নয়টি দল। এতে প্রতিটি দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ, যার তিনটি অনুষ্ঠিত হবে ঘরের মাঠে এবং তিনটি বিদেশে। প্রতি সিরিজে কমপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ থাকতেই হবে, সর্বোচ্চ রাখা যাবে পাঁচটি ম্যাচ। এতে সুবিধা হয়েছে অ্যাশেজের, পাল্টাতে হচ্ছে না ঐতিহাসিক সিরিজটির ম্যাচের সংখ্যা। ম্যাচের দৈর্ঘ্য যথারীতি থাকছে পাঁচদিনই। লিগের সুষম আয়োজন শেষে ২০২১ সালে এপ্রিলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডে।
এদিকে প্রথম ওয়ানডে লিগ শুরু হবে ২০২০-২১ মৌসুমে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টেস্ট খেলুড়ে সবকটি দল অংশ নিতে না পারলেও সব দল অংশ নিতে পারবে ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপে। বারোটি টেস্ট দলের সাথে থাকবে আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন দলও, তাদের নিয়ে অংশগ্রহণকারী মোট দল হবে তেরোটি। একটি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিটি দল আটটি করে ম্যাচ খেলবে, যার চারটি অনুষ্ঠিত হবে দেশের মাটিতে এবং চারটি বিদেশের মাঠে। প্রতিটি সিরিজে থাকবে তিনটি করে ওয়ানডে ম্যাচ। এতে হারিয়ে যাবে পাঁচ কিংবা সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজগুলো। ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই নির্ধারিত হবে বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইয়ার দলগুলো।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। মূলত ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় ও গোছালো করার লক্ষ্যেই এসেছে এসব পরিবর্তন। গত জুনে ১১ ও ১২তম সদস্য হিসেবে টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। এই দুই দলের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে আইসিসিতে লেগেছে নতুন হাওয়া।
আজকের বাজার: সালি / ১৩ অক্টোবর ২০১৭