বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হতে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আজ রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুইজারল্যান্ডের দাভোস সফরের বিষয়ে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি দাভোস সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল তিনি দেশে ফিরেছেন।
শফিকুল আলম বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের আসিয়ানে সদস্য হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন; আমরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অংশ। বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হতে চায়। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানেও সহায়তা চাওয়া হয়।’
শফিকুল আলম বলেন, আসিয়ানের সদস্য হওয়া মানে বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন হওয়া। এতে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়বে, বড় বাজার উন্মুক্ত হবে। যদি সদস্যপদ পাওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এর চেয়ে বড় সুখবর আর হতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রেস সচিব জানান, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিপিং জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার আসিয়ানের সদস্য, তাই এই দুই দেশকে বলা হয়েছে- রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সহায়তা করার জন্য।
এখনও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে বলে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার বিষয়।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।