কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে দেশবাসী। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে ঝলকে ওঠে প্রচুর আতশবাজি।
উড়তে দেখা যায় প্রচুর ফানুসও।
তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কঠোরতার কারণে রোববার ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার আগেই রাজধানীর সড়কগুলো তুলনামূলক ফাঁকা হয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গুলশান এলাকায় কেবল বিপুলসংখ্যক র্যাব-পুলিশ আর গণমাধ্যমকর্মীদেরই দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের হেলিকপ্টার টহল চোখে পড়ে। এসব নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুলশান, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ কয়েকটি এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় উৎসব ব্যাপক হয়ে ওঠেনি। রাস্তার মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে। র্যাবের ডগ স্কোয়াড সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি করেছে। গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতেও ছিল পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা।
রাত ৮টার দিকে গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে র্যাব নতুন বছরের নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, সারা রাত ধরে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল দেবে।
রাত সোয়া ৯টার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে যে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করে জনগণের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজকের বাজার: আরআর/ ০১ জানুয়ারি ২০১৮