ইউএসএআইডি’র কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত

মার্কিন ত্রাণ সংস্থা ইউএসএআইডি’র দুই হাজার ২শ’ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত।

এক প্রতিবেদনে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, শুক্রবার হাজারো কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর ট্রাম্পের পরিকল্পনা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিল দুটি ইউনিয়ন। পরে শুনানিতে বিচারক কার্ল নিকোলস ‘খুবই সীমিত’ সময়ের জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনা কার্যকরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সব বিদেশি সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডির প্রকল্পগুলো স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। সংস্থাটির কম্পিউটার সিস্টেমও বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়া কর্মীদের আকস্মিক ছাঁটাই করা বা ছুটিতে রাখা হয়েছে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপাতত ৬১১ কর্মী সংস্থাটিতে কাজ করবেন। এর বাইরে অন্যদের চাকরি থাকবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিচারক নিকোলস এমন এক সময়ে তার আদেশ দিয়েছেন, যখন কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সাহায্য সংস্থাটির সদর দফতরে ইউএসএআইডির লোগো ঢাকছিল ও মুছে দিচ্ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে তার প্রশাসন যেসব সংস্থাকে টার্গেট করেছে, ইউএসএআইডি তার অন্যতম। এই ব্যয় কমানোর জন্য যারা কাজ করছে, সেই ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

শুক্রবার বিচারক নিকোলসের আদেশ এসেছে ইউএসএআইডির কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করা দুটি ইউনিয়ন আমেরিকান ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের এক জরুরি আবেদনের প্রেক্ষিতে।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নিয়োগ পাওয়া বিচারক নিকোলস শুক্রবার রিপাবলিকান প্রশাসনের পরিকল্পনায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়ে বলেন, আদেশের লিখিত রূপ পরে মিলবে, সেখানে বিস্তারিত থাকবে।

যদিও এই দুই হাজার ২০০-র বাইরেও ইউএসএআইডির আরও প্রায় ৫০০ কর্মী এখনই ছুটিতে আছেন।মামলায় অনুদান ও চুক্তি পুনরায় চালু এবং ইউএসএআইডি ভবন পুনরায় খুলে দেয়ারও আবেদন জানানো হয়েছিল, কিন্তু এসব বিষয়ে বিচারকের কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। (বাসস)