ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে চলছে প্রচন্ড লড়াই

রাজধানী কিয়েভে রুশ বাহিনীর হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। শহরটির রাস্তায় রাস্তায় উভয়পক্ষেচলছে তুমুল লড়াই।
স্থানীয় সময় শনিবার কিয়েভ সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ মুহূর্তে আমাদের শহরের বিভিন্ন রাস্তায় লড়াই চলছে।’ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং জানালা ও বারান্দার কাছে না আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রশ বাহিনী রাজধানী পুরোপুরি দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এরপর তারা দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, রাজধানী কিয়েভে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তবে তারা সেটি প্রতিহত করেছে। ফেসবুক পোস্টে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এমন দাবি করেছে। তারা আরও বলেছে, ওডেসা বন্দরের কাছে বাণিজ্যিক দুটি জাহাজে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
কিয়েভ ছাড়াও দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরের প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলির চারপাশে যুদ্ধ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কিয়েভের ওপর গোলা হামলার শব্দ এতোটাই তীব্র ছিল যে শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা।
ইউক্রেনীয় স্টেট স্পেশাল সার্ভিসের মতে, রাজধানীর ট্রয়েসচিনা এলাকার সিএইচপি-৬ পাওয়ার স্টেশনের কাছে তীব্র লড়াই চলছে। পাওয়ার স্টেশন দখলে নেয়ার মাধ্যমে পুরো শহরটিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।
কিয়েভের  পেরেমোহি অ্যাভিনিউতে গাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
ভাসিলকিভের একটি বিমান ঘাঁটির কাছে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে রুশ প্যারাট্রুপাররা কিয়েভের ওপর হামলা চালানোর জন্য এই ঘাঁটিকে তাদের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করছে, তারা কৃষ্ণ সাগরের শহর মাইকোলাইভে থেকে রাশিয়ানদের সফলভাবে হটিয়ে দিয়েছে। সেইসাথে কিয়েভের সেনা ঘাঁটিতে হামলা ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভে লড়াই প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি ইউক্রেনীয়দের সতর্ক করে বলেছেন, তারা কোন অবস্থাতেই রাজধানীকে “হারাতে পারবে না”। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হয়। রুশ সেনাদের ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। সাধারণ বাসিন্দাদের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার মেশিনগান।
এদিকে মস্কো বলেছে, ইউক্রেন অস্ত্র সমর্পণ করলেই কেবল তারা আলোচনার জন্য বসবে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেন দখলের ইচ্ছে কারোরই নেই।