রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন অভিযানকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে স্বীকার করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার পুতিনকে বাস্তবতা স্বীকার করে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ কথা বলে গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষ একটি অপরাধমূলক পরিভাষা ব্যবহার করে এমন একটি আইন অনুমোদন করে।
তবে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন নিজেই ‘যুদ্ধ’ শব্দটি ব্যবহার করে বলেছেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি শেষ করার আশা করছেন।
যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্ব জানত যে, পুতিনের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ছিল বিনা উস্কানিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একটি অযৌক্তিক যুদ্ধ। অবশেষে ৩০০ দিন পর পুতিন এটিকে যুদ্ধ বলে কী বুঝাতে চাইছেন।’
মুখপাত্র বলেন, ‘বাস্তবতা স্বীকার করার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে, আমরা তাকে ইউক্রেন থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহার করে এই যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানাই।’
পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে যে, পুতিনের পরিভাষা যাই হোক না কেন, ‘তার সার্বভৌম প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে মৃত্যু, ধ্বংস এবং বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।’
এই মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার একটি আদালত বিরোধী রাজনীতিবিদ ইলিয়া ইয়াশিনকে যুদ্ধ সম্পর্কে তার ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার জন্য নতুন আইনের অধীনে সাড়ে আট বছরের কারাদন্ড দিয়েছে।
ইয়াশিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে শহর বুচাতে একটি ‘হত্যাকান্ড’ সম্পর্কে কথা বলেছিলেন, যেখানে রাশিয়ান বাহিনী পিছু হটার পর বেসামরিক পোশাকে ইউক্রেনীয়দের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
আক্রমণের সমালোচনাকারী একজন বিরোধী আইনপ্রণেতা নিকিতা ইউফেরেভ শুক্রবার বলেছেন, তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে তার ‘যুদ্ধ’ রেফারেন্সে ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানোর জন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চাচ্ছেন।