ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০ দিন অতিবাহিত : বিজয়ের অঙ্গীকার ব্যক্ত জেলেনস্কির

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সৈন্যরা চূড়ান্ত হামলায় ছালানো সত্ত্বেও শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই যুদ্ধে বিজয়ী হবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। জাতিসংঘ এখন বৈশ্বিক খাদ্য সংকট এড়াতে এবং দেশটি থেকে কয়েক মিলিয়ন খাদ্যশস্য বের করে নেয়ার চেষ্টা করছে।
ভøাদিমির পুতিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার ১০০ দিনের বেশী অতিক্রান্ত হয়েছে, এতে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে, লাখ লাখ লোক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং শহরগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ইউক্রেনের তীব্র প্রতিরোধে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা ধীর হয়ে পড়ায় এবং রাজধানী কিয়েভ দখলের জন্য লড়াইয়ে রাশিয়াকে বাধ্য হয়ে কিয়েভের আশপাশের অঞ্চল থেকে সরে এসে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয়।
জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘বিজয় আমাদের হবে।’ পরে রাতের ভাষণে তিনি ‘রুশ বাহিনীর বিজয়ের সম্ভাবনা প্রত্যাখান করেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে রুশ বাহনীর আগ্রাসনকে হুমকি মনে হয়েছিল, তারপর বিপজ্জনক এবং এখন সম্ভবত শুধু একটি তিক্ত হাসি। কারণ আর কী বাকি আছে, এখন তাদের সামনে যুদ্ধাপরাধ, লজ্জা এবং ঘৃণা।’
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘তাদের নির্দিষ্ট কিছু ফলাফল অর্জিত হয়েছে।’ এই অর্জন সম্পর্কে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের নাৎসীপন্থী সশস্ত্র বাহিনীর’ হাত থেকে তারা  কিছু এলাকার ‘মুক্ত’ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পশ্চিম আরো শক্তিশালী অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠিয়েছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে এযাবত কালের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া থেকে  বেশীরভাগ তেল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
পুতিনের কথিত বান্ধবী, সাবেক জিমন্যাস্ট আলিনা কাবায়েভার সম্পদ জব্দ এবং তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
একই সময়ে জাতিসংঘ বলেছে, ইউক্রেনের খাদ্যশস্য দেশটি থেকে বের করে নেয়ার জন্য রাশিয়ার সম্মতি নিতে তারা ক্রেমলিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।