ইউনাইটেড হাসপাতালের এমডির জামিন

ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদুর রহমান খানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে ফরিদুর রহমান খান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

ফরিদুর রহমান খান ছাড়াও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কমিশনার রহিমা বেগমকে মামলায় আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে ‘কন্টিনেন্টাল হাসপাতাল’নামে একটি হাসপাতাল রাজধানীর গুলশান-২ আবাসিক এলাকার ৭১ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়িতে বেইজমেন্টসহ একটি আটতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৭ সালে হাসপাতালটির মালিকানা ও নাম পরিবর্তন করা হয়। হাসপাতালটি ‘ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড’ নামে কার্যক্রম শুরু করে। যদিও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তালিকায় আগের নামই বহাল রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ২০০৭ সালের আগস্টের ২৬ তারিখে ২০০৬ সাল থেকে হাসপাতালটির ত্রৈমাসিক হোল্ডিং ট্যাক্স ৮৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করে নোটিশ দেয় । ওই কর আরোপের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড হাসপাতাল সিটি কর্পোরেশনের অ্যাসেসমেন্ট রিভিউ বোর্ড (এআরবি) বরাবর আবেদন করে।

৪ সদস্যের ওই বোর্ডে তৎকালীন সিটি কর্পোরেশন কমিশনার এম এ কাইয়ুম (ওয়ার্ড নং-২১) ছিলেন চেয়ারম্যান। বাকি সদস্যরা ছিলেন কমিশনার রহিমা বেগম (সংরক্ষিত আসন-২৭), প্রকৌশলী কাজী জহিরুল আজম ও অ্যাভোকেট মালেক মোল্লা।

এআরবি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অপর দুইজন সদস্যের অনুপস্থিতিতে রহিমা বেগম এককভাবে ২০০৯ সালে ত্রৈমাসিক কর কমিয়ে ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫০ পুনঃনির্ধারণ করেন।

এতে ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডের ত্রৈমাসিক কর ১৩ লাখ ২২ হাজার ৩৪০ টাকা কমে যায়। তা সত্ত্বেও ইউনাইটেড হাসপাতাল পরবর্তিতে কর পরিশোধ করেনি। করের পরিমাণ না কমালে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের পাওনা হতো ২১ কোটি ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৩ টাকা। কিন্তু কমানোর কারণে পাওনা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫২ টাকা।

ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান ও সাবেক কমিশনার রহিমা বেগম পরস্পর যোগসাজশে বিশ্বাস ভঙের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে ২১ কোটি ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৩ টাকা পরিশোধ না করে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ, কর ফাঁকির অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুই জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি মমালা করেছিল দুদক।

আজকেরবাজার/