ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে সিলেটের শীতলপাটি বুনন পদ্ধতি।
এর আগে জাতীয় জাদুঘরে শুরু হওয়া শীতলপাটি প্রদর্শনীতে এই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ওই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন সিলেট থেকে আসা শীতলপাটি শিল্পীরা। তারা জানান, তাদের পুর্বপুরুষরা বন থেকে বেত যোগাড় করে পাটি বুনলেও এখন কিনতে হয় বেত।
জানা গেছে, একটি শিতলপাটি বুনতে প্রায় ২০০ বেত প্রয়োজন হয়। কিন্তু দিন দিন বেত কমে যাওয়া আর অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার ফলে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে গেছে বহুগুণে। সেই তুলনায় বাড়েনি ক্রেতাদের আগ্রহ।
নদীবিধৌত সিলেটে, সুরমা নদীর পাশাপাশি খাল-বিলের পাড়ে জন্ম নেওয়া মুর্তা গাছ দিয়েই তৈরি হয় শীতল পাটি
শীতলতার পাশাপাশি নানা নকশা, রং ও বুনন কৌশল মুগ্ধ করে। এক একটি শীতল পাটি বুননে কখনও কেটে যায় ৪ থেকে ৬ মাসও । শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় পাটিতে ফুটে উঠে প্রকৃতি, পশুপাখি ও প্রিয়জনের অবয়ব।
এই স্বীকৃতি মৃতপ্রায় শীতল পাটি শিল্প স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবে বলে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৬ ডিসেম্বর ২০১৭