ইউরোপা লিগ ফাইনালে অ্যাতলেতিকো

ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে বৃহস্পতিবার ১-০ গোলে আর্সেনালকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ ফাইনালে উঠল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।

২০১২ সালে শিরোপা জেতার পর এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবার ফাইনালে দিয়েগো সিমিওনের দল। এতে করে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ২২ বছরের কোচিং ক্যারিয়ার শেষ হলো একটি ইউরোপীয় ট্রফি না জেতার আক্ষেপ নিয়ে।

ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ এই সেমিফাইনালে টাচলাইনে নিষিদ্ধ ছিলেন সিমিওনে। কোচ দর্শকের আসনে বসে থেকে দেখেছেন তার দলের খেলা। তাকে নিরাশ করেনি অ্যাতলেতিকো। দলটির কোচ হিসেবে চতুর্থ মহাদেশীয় ফাইনাল খেলার স্বাদ পেতে যাচ্ছেন এ আর্জেন্টাইন।

ষষ্ঠ মিনিটে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে গোল পাননি দিয়েগো কস্তা। আর্সেনালের দুই জন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে কেবল গোলরক্ষক দাভিদ ওসপিনাকে পেয়েছিলেন সামনে। কিন্তু তার কোনাকুনি শট গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।

আর্সেনাল তাদের সেরা সুযোগ তৈরি করে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে। আলেক্সান্দ্রে ল্যাকাজেত্তে ডিবক্সের মধ্যে পাস দিয়েছিলেন মেসুত ওয়েজিলকে। কিন্তু জার্মানের নিচু ক্রস প্রতিহত করে অ্যাতলেতিকোর ডিফেন্ডাররা।

৩৭ মিনিটে আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান গোলের খুব কাছে পৌঁছালেও তার স্লাইডিং শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। অবশ্য দুটি সুযোগ নষ্টের আফসোস প্রথমার্ধেই কাটিয়েছে অ্যাতলেতিকো। গোলরক্ষক জ্যান ওবলাকের লম্বা শট থেকে গ্রিয়েজমান বাঁদিকে বল বাড়িয়ে দেন কস্তাকে। হেক্টর বেয়ারিনকে পেছনে ফেলে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড জোরালো শটে পরাস্ত করেন ওসপিনাকে।

ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতে একটি গোলের জন্য হন্যে হয়ে ছিল আর্সেনাল। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যারন রামসি ঠিকভাবে বল পায়ে না পাওয়ায় আকাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাননি। অ্যাতলেতিকো গোলরক্ষক এরপর থামান গ্রানিত ঝাকার নিচু ড্রাইভ। গ্রিয়েজমান দ্বিতীয় গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ওসপিনা তাকে ঠেকান।

৬৯ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ানকে বদলি নামান ওয়েঙ্গার। তিন মিনিট পর গানারদের সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন তিনি। ডিবক্সের বাইরে থেকে তার শট ক্রসবারের কিছুটা উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

অনেক চেষ্টার পরও অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে লড়াইকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে পারেনি আর্সেনাল।

আরজেড/