রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী শেখ তৌহিদুল ইসলাম ওরফে নুর নবী হত্যা মামলার আসামি রাসেল শেখ ওরফে নয়ন (১৯) এই হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাসেল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মো. আসাদুজ্জামান। তিনি রাসেলের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার আসামি রাসেলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন । এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২২ মে (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব -১।
এরপর গতকাল বুধবার দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব -১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে বাগেরহাটের একটি নৌকাবাইচ অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলো তৌহিদুল। সেখানে তার গায়ে অসাবধানতাবশত রাসেলের সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে রাসেলকে মারধর করেন তৌহিদুল।
এ বছরের ১ মে থেকে 'গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিস' নামে একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের অধীনে সেনানিবাসের ইবিএল বুথে নিরাপত্তা কর্মীর কাজ শুরু করেন তৌহিদুল। রাসেল আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিসে রিক্রুটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।
ওই দিনের ঘটনার বিবরণে মেজর মনজুর বলেন, ২০ মে রাতে তৌহিদুল ওই বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়োগের পোস্টারিং করছিলেন। একপর্যায়ে রাতে ইবিএলের ওই বুথে গিয়ে তৌহিদুলকে দেখে রাসেল ক্ষিপ্ত হন। গত বছরের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর হাতাহাতি। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে রাসেল ছুরি দিয়ে তৌহিদুলকে জখম করে। তৌহিদুলের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এটিএম বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি পাশের ড্রেনে ফেলে দিয়ে রাসেল খুলনা পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে সকালে ক্যান্টনমেন্ট পোস্ট অফিসের পাশে ইবিএল বুথে শেখ তৌহিদুল ইসলাম নুর নবীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় তৌহিদুলের বাবা শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
আজকের বাজার/ এমএইচ