ইভটিজিং ও নির্যাতনের অভিযোগে ১২ পুলিশ প্রত্যাহার

খুলনার বটিয়াঘাটায় এক স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করায় এবং তার প্রতিবাদ করলে ওই ছাত্রীর ভাইকে নির্যাতন করায় ১২ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করেছে খুলনা জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার ৯ জানুয়ারি ১২ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে খুলনার বটিয়াঘাটায় বোনকে উত্যক্ত(ইভটিজিং) করার প্রতিবাদ করায় ভাই তারেক মাহমুদকে নির্যাতন করে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী খাড়াবাদ-বাইনতলা ফাঁড়ি ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

খুলনা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা জানান, ওই ফাঁড়ির ১২ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে। এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে তাদের ক্লোজড করা হয়েছে।

তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তারেক মাহমুদ বটিয়াঘাটার নারায়নখালী গ্রামের শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে। মুজিবুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে বাইনতলা স্কুল এন্ড কলেজের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী খাড়াবাদ-বাইনতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিয়ে কোচিংয়ে যাওয়া-আসা করে। কয়েকদিন ধরে পুলিশের কনস্টেবল নাঈম, মামুন, রিয়াজ, আবির ও নায়েব জাহিদ উত্ত্যক্ত করছিলো।

মুজিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরেও কোচিংয়ে যাওয়ার সময় তারা একই কাজ করে। পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আমার দোকানে বসা ছেলে তারেক মাহমুদকে বিষয়টি বলে। তারেক ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই তারেকুজ্জামান বিষয়টি জানাতে যায় কিন্তু তিনি না থাকায় দোকানে চলে আসে। পরে অভিযুক্ত ওই ৫ পুলিশ দোকানে এসে তাকে মারধোর করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় দোকানেও ভাংচুর চালায় তারা।

জানা যায় এর পরে স্থানীয়রা ফাঁড়ি ঘেরাও করে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আজকের বাজার:এলকে/ ৯ জানুয়ারি ২০১৮