ইসরাইল ও মিশরের মধ্যে গাজার ‘স্থায়ী অস্ত্রবিরতি’ বৈঠক অনুষ্ঠিত

ইসরাইল ও মিশরের কর্মকর্তারা রোববার উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা করেছেন। কায়রো মধ্যস্থিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি জোরদার করার লক্ষে তারা এ আলোচনা করেন। এ অস্ত্রবিরতি চুক্তির ফলে ইসরাইল ও গাজার হামাস শাসকের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া সর্বশেষ সহিংসতার অবসান ঘটে। খবর এএফপি’র।
নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উভয় দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতা জোরদার করা’ নিয়ে আলোচনা করতে জেরুজালেমে মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামালের সাথে সাক্ষাত করেন।
এদিকে মিশরের সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপি’কে জানিয়েছেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজার ব্যাপারে একটি স্থায়ী অস্ত্রবিরতি চুক্তি করার পথ খুঁজে বের করতে কামাল ও তার প্রতিনিধি দলকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ প্রতিনিধি দলের অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখন্ডও সফর করার কথা রয়েছে।
এদিকে একই দিনে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গবি আশকানাজি মিশর সফর করেন। বিগত ১৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম ইসরাইলের কোন শীর্ষ কূটনীতিক প্রতিবেশি এ দেশের সফরে গেলেন।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটার বার্তায় বলেন, মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা গাজা উপত্যকার ব্যাপারে একটি স্থায়ী অস্ত্রবিরতি এবং শান্তির পথ পুনর্জ্জীবিত করতে মিশরের নিরলস ও অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ।
বিস্তারিত উল্লেখ না করে মিশরের সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, আলোচনার জন্য হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ’র মিশর সফরের আশা করা হচ্ছে।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ২১ মে’র অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করার ক্ষেত্রে মিশর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এর মধ্যদিয়ে গাজায় ১১ দিনের ব্যাপক সহিংসতার অবসান ঘটে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তরা জানান, সেখানে ইসরাইলি হামলায় ২৫৪ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৬ শিশু রয়েছে।
অপরদিকে গাজা থেকে ইসরাইলে ছোড়া বিভিন্ন রকেট হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে এক শিশু ও আবর বংশোদ্ভূত এক ইসরাইলি কিশোর রয়েছে।