ইসরায়েলে গোপন বৈঠক: পদত্যাগ করলেন বৃটিশমন্ত্রী

বৃটেনের কনজারভেটিভ পার্টির উদীয়মান রাজনীতিবিদ প্রীতি প্যাটেল গত আগস্ট মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে গোপনে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এসব বৈঠকের খবর প্রকাশ হওয়ার পর বৃটেন জুড়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে বৃটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল পদত্যাগ করেছেন। খবর বিবিসি।

গত ৮ নভেম্বর বুধবার প্রীতি প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালনকেও মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে প্রীতি প্যাটেল সরকারি সফরে দক্ষিণ আফ্রিকাতে ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরী ভিত্তিতে দেশে ফিরে এসে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান টেরিজা মের কার্যালয়ে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর সাথে দীর্ঘ বৈঠকের পর পদত্যাগপত্র জমা দেন। এসময় প্রীতি প্যাটেল ইসরায়েলে সভার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।

যে কারণে বির্তক
প্রীতি প্যাটেল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান রাজনৈতিক দল এবং একাধিক সংস্থার সাথে বৃটেনের সরকারি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু তিনি বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে এ বিষয়কে অবহিত করেননি। ফলে তার এই সরকারি প্রটোকল লঙ্গনের বিষয়টি জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় উঠে।

গত সোমবার ডাইনিং স্ট্রিট থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল প্রীতি প্যাটেল তার ব্যক্তিগত সফরে ইসরায়েল গিয়ে কিছু মানুষের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ নেন।

তবে বিরোধী দল লেবার পার্টি এ বিবৃতিতে সন্তুষ্ট না হয়ে প্রীতির পুরো সফরটি তদন্তের দাবি জানায়। এমনকি প্রীতি মন্ত্রিত্বের নীতিমালা এবং লবিংয়ের নিয়মকানুনের বাইরে গিয়েছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান দলটি।

উল্লেখ্য প্রীতি কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইসরায়েলের সাবেক ভাইস চেয়ার। দেশে ফিরে প্রীতি ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর জন্য বৃটেনের পক্ষ থেকে বৈদেশিক সাহায্যের সুপারিশ করেন। এর ফলে তার বিরুদ্ধে নৈতিকতা লঙ্গনের অভিযোগ আরো জোরালো হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৯ নভেম্বর ২০১৭