দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা জোরদার এবং ভুয়া পাসপোর্ট প্রতিরোধে ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) চালু করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি)তে ‘ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পক্ষে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এম মাসুদ রেজওয়ান এবং জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেনস উলফগ্যাং কুনজ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নেইলস আনেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন থেমে নেই। এ পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের ২ কোটিরও বেশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে এবং বিদেশিদের ভ্রমণের জন্য ১১ লাখেরও বেশি মেশিন রিডেবল ভিসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে এমআরপি পাসপোর্ট এখন বন্ধ হয়ে যাবে না। ই-পাসপোর্ট সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি চালু থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ২০১০ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় প্রবর্তিত হয়েছিল মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)। ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনাকে আরও নির্ভুল, সহজতর ও সময় সাশ্রয়ী করতে বিশ্বের ১১৮টি দেশ ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট প্রদান করেছে।
জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নেইলস আনেন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরে খুব অল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য সমৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ই-পাসপোর্টের চুক্তি অনুযায়ী জার্মান কোম্পানি ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বই সরবরাহ করবে। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫শ’ ৬৯ কোটি টাকা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয় ও পাসর্পোট অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/