নগরীর বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে ঈদে নির্বিঘ্ন যাতায়াত করতে পারবেন দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার ও বান্দরবানের যাত্রিরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির দুটি আন্ডারপাসের উপরের অংশ ছাড়া বাকিটা কার্পেটিং করে ঈদে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ৬ মার্চ। এর মধ্যে ১০৭ কোটি টাকা দিয়েছে কুয়েত সরকার। অবশিষ্ট ১৬৩ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ২৬৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএমসিজি-মীর আকতার-সাদিম আল কুয়েত জেভির সঙ্গে সওজ’র চুক্তির পর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মীর আকতার হোসেন লিমিটেড সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আশিক কাদির
বলেন, ‘আন্ডারপাস এলাকার পাশে তিনলেনের সড়ক দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের জন্য কার্পেটিং করা হয়েছে। প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই গাড়ি চলাচল করতে পারবে। ঈদের পরে আন্ডারপাস দু’টির উপরের অংশ কার্পেটিং করা হবে। এতে করে ওইসব রুটের যাত্রীদের দুইবছরের বিড়ম্বনার অবসান হতে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জুনের ৪ তারিখ থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। তাই ঈদের আগেই সড়ক গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে খুলে দেয়া হয়েছে।। কর্ণফুলী সেতুর দক্ষিণ পাড়ে চারলেনের ৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর উত্তর পাড় থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ৬ লাইনের ৬ কিলোমিটারে সামান্য কাজ বাকি আছে। তা ঈদের পরে করা হবে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীতে এটিই প্রথম ছয়লেনের সড়ক। বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী সেতু এলাকা পর্যন্ত ৬ লেনের ৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। রাহাত্তারপুল ও কালামিয়া বাজার এলাকায় দুটি আন্ডারপাস-এর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে।
কর্ণফুলী সেতুর দক্ষিণপাড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ি আকবর হোসেন বলেন, ‘সংযোগ সড়ক খুলে দেওয়ায় এখন ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে বহদ্দারহাট থেকে শিকলবাহা ক্রসিং যেতে পারব। আগে বহদ্দারহাট থেকে গাড়ি বের হলে কর্ণফুলী সেতু পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে পড়তে হতো। এখন এই কষ্ট থেকে দক্ষিণ বান্দরবান-কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামবাসি মুক্তি পাবে।’