প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উকিল নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠানো উকিল নোটিশ প্রত্যাহার করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। ওই উকল নোটিশের জবাবে বুধবার ২০ ডিসেম্বর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেত্রী এবং তার দুই পুত্রের দুর্নীতির খবর এখন বিশ্ব স্বীকৃত। বিদেশের আদালতও খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাজা দিয়েছে। তারেক রহমানের হাওয়া ভবন ছিল বিএনপি সরকারের মধ্যকার আরেক সরকার। দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিতে হাওয়া ভবন থেকেই হাজার হাজার কোটি টাকা কমিশন আদায় করা হতো।
খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার অর্থ পাচারের খবর বিশ্ব মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সম্পর্কে মন্তব্য করেন। প্রচারিত একটি বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে অবহিত করেছেন মাত্র।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যখন সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন, ঠিক তখনই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। মিডিয়াকে প্রভাবিত করতেই খালেদা জিয়ার এ কৌশল বলে মনে করি। এতে খালেদা জিয়ার শেষ রক্ষা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ উকিল নোটিশ পাঠানোর মানে হচ্ছে ‘চোরের মায়ের বড় গলা।’ জিয়াউর রহমানের পুরনো প্যান্ট কেটে তারেক রহমানের প্যান্ট বানিয়েছিল, খালেদা জিয়া এটি বিটিভিতে বহুদিন প্রচার করেছে। ভাঙা স্যুটকেস ছাড়া নাকি জিয়ার কিছুই ছিল না! সেই তারেক রহমান বিদেশের মাটিতে কীভাবে জীবন-যাপন করছেন, তার তদন্ত হওয়া দরকার। বিএনপির আমলের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিরও তদন্ত দাবি করেন তিনি।
আজকের বাজার: এলকে/ ২০ ডিসেম্বর ২০১৭