উখিয়া- টেকনাফের স্থানীয় জনগণকে পুনর্বাসন করা হবে

বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী হঠাৎ করে চলে আসায় স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার যে সমস্যা হয়েছে, সরকার তা নিরসন করে উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় জনগণকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৫ নভেম্বর বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দশম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য মো. আব্দুল মতিনের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এসময় সরকার সকল প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আগত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সফলভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন লাভে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সমগ্র বিশ্ববাসী বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি বিশ্বের সকল দেশ বাংলাদেশকে প্রশংসা করছে এবং বাংলাদেশের এই পদক্ষেপকে সাগ্রহে সমর্থন জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, মায়ানমারের নাগরিকরা যেন তাদের স্বদেশ ভূমিতে ফিরে যেতে পারে তার জন্য সমগ্র বিশ্ববাসী তৎপর রয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানও তৎপর রয়েছে।

কক্সবাজার থেকে নির্বাচিত সরকারি দলের সদস্য আব্দুর রহমান বদি’র অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গাদের আকস্মিক আগমনে পাহাড়ে গাছপালা নষ্ট হয়ে পরিবেশের বিপুল ক্ষতি হয়েছে এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রাতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায়।

কাজেই সরকার স্থানীয় এসব জনগণকেও পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে রোহিঙ্গারা যেন মিশে না যায়, এ বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে উস্কানি ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, ১৯৭৮ সালে এই রোহিঙ্গা সমস্যার সৃষ্টি যখন অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিলেন সেনাশাসক জিয়াউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যারও সে সময় সৃষ্টি হয়।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নিশ্চিতভাবেই এই সমস্যার পেছনে উস্কানি রয়েছে। যাহোক সরকার এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে এবং তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৬ নভেম্বর ২০১