উচ্চাকাঙ্ক্ষার অর্থ অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে জোগাড় করতে হবে

উন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে অর্থের প্রয়োজন। এর জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রয়োজনীয় অর্থ অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে আহরণ করতে হবে।

আজ ২৩ মে মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল পূর্বালী ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে ‘অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর’ বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ. মান্নান। এনবিআর, ইউএসএআইডি ও এডিবি যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য বা দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে দেশ ও মানুষের উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আহরণ করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে হবে- এটা আমাদের বিশাল আকাঙ্ক্ষা।

তিনি বলেন, উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশের পূর্ব শর্ত হিসেবে দেশের সব মানুষের জন্য বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, ওয়াই-ফাই লাগবে। সবার মধ্যে যে উচ্চ আকাঙ্ক্ষা- তা পূরণে অর্থের প্রয়োজন। সে অর্থ অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে জোগাড়ের পদ্ধতি খোঁজতে হবে। এম.এ. মান্নান বলেন, আমাদের অর্থের প্রয়োজন। নিজস্ব ভূমি থেকেই আমাদেরকে অর্থ বের করতে হবে। রাজা-বাদশা, ব্রিটিশরা সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা, প্রয়োজনীয় কিছু প্রশাসনিক কাঠামো ধরে রাখার খরচ জোগাতে ভূমি রাজস্ব ও কিছু শুল্ক রাজস্ব আদায় করতেন- সেগুলো আয়ের বড় উৎস ছিল।

তিনি বলেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা টাকা চাইলেই জনগণ তা দেবে না। টাকা বের করার জন্য পথ লাগবে। সে টাকা বের করার জন্য এনবিআর চেষ্টা করছে। বিকল্প পদ্ধতির সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই টাকা বের করতে এনবিআরকে লাগবে। আপাতত অন্য কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের জন্য এখনও এনবিআরের ওপর নির্ভর করে সরকার। এনবিআরের কাজের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য শুধু দেশে বসে থাকলে চলবে না; বর্হিবিশ্বে অন্য যেসব দেশ অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ করছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে; একইসঙ্গে উত্তম চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্র সহজীকরণ করা ও ব্যবসাকে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিলেটেশন সহজ হলে ব্যবসা আরও বাড়বে। ব্যবসা বাড়লে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। এম.এ. মান্নান বলেন, সরকারের অর্থ আহরণের প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করছে এনবিআর। জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য আরও বেশি রাজস্ব আহরণে এ সংস্থাকেই কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআর ব্যবসাকে ফ্যাসিলেটেড করছে; ব্যবসা ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে কাজ করছে; সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ট্রেড ফ্যাসিলেটেড করতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উত্তম চর্চা ও চুক্তিগুলো অনুসরণ করা হচ্ছে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শেখ ফজলে ফাহিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা কাস্টমস হাউজ কমিশনার প্রকাশ দেওয়ান। আরও বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডির প্রতিনিধি মো. আল সাইদ, এনবিআর সদস্য মো. ফিরোজ শাহ আলম প্রমুখ।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২৩ মে ২০১৭