বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘দেশ উন্নত হলে জনগণের মধ্যে যে অনুভূতি আসবে সে অনুভূতি এসেছে কী? আসলে উন্নয়ন দেশের নয়, হয়েছে রাজনীতিবিদদের।
তিনি বলেন, দেশ উন্নত হতে হবে জনগণের জন্য, হাতেগোনা কয়েকজন মানুষের জন্য ও রাজনীতিবিদদের জন্য না, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুট করে কানাডায় বেগম পাড়া বানিয়ে কিছু লোককে খুশি করে দেশ উন্নত হয় না।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে লেবার পার্টির সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার যে উন্নয়নের কথা বলে সে উন্নায়নের সফলতা জনগণ পাই নাই পেয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ ও রাজনীতিবিদ। দেশে উন্নয়ন হলে জনগণ খুশি হয়ে রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করতো কিন্তু জনগণের তো আনন্দ করতে দেখলাম না। সরকারের এ উন্নয়নের মিছিলে সরকারি চাকরিজীবী ও ছাত্র-ছাত্রীরাই এসেছে, দেশের জনগণ আসে নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে আইনের মাধ্যমেই বের করে আনবো আর সরকার যদি এ আইনের পন্থাটাতেও যদি বাধা দেয় তাহলে ভবিষতে যে আন্দোলন হবে তার জন্য সরকারই দ্বায় থাকবে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধর কথা বলে কিন্তু আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তারা মাসে মাসে ভাতা পাই কিন্তু যারা যুদ্ধে নিহত হয়েছে তাদের পরিবারের কেউ কোনো ভাতা বা সহযোগিতা পায় না এটা নি:সন্দেহে অবিচার। সরকার তো তাদের কোনো খোঁজ রাখে না। সরকার আসলে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে জনগণের কাছে আসতে চাই কিন্তু জনগণ সব বোঝেন।’
‘আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাদের চেয়ে বেশি বোঝেন যারা মুক্তিযুদ্ধ করে নাই’ এমন মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যুদ্ধের সময় যাদের জন্ম হয় নাই। তখন যাদের যুদ্ধে যাওয়ার বয়স হয়েছিল কিন্তু যুদ্ধে যায় নাই তারা আমাদেরকে যুদ্ধের চেতনা শেখায়। আমি তাদেরকে বলতে চাই এটা পরিষ্কার করেন যখন আপনাদের যুদ্ধে যাওয়ার বয়স ছিল যুদ্ধে যান নাই কেন? এই যুদ্ধে আপনার চেতনা কি ছিল? আপনার ধারণায় কি বলে? আসলে আমরা অদ্ভুত দেশে বাস করছি। এ সব পাল্টাতে হবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশে কঠর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, অ্যাড. গরিবে নেওয়াজ প্রমুখ।
এমআর/