উপহার আত্মসাৎ মামলায় খালাস পেলেন এরশাদ

রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে করা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। মঙ্গলবার, ৯ মে বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

গত ১২ এপ্রিল মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ঠিক করেছিলেন আদালত। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।

এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি মামলায় খালাস পেলেন এরশাদ। গত ১৯ এপ্রিল বিমানের রাডার ক্রয় দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন জাপা চেয়ারম্যান। দুদকের করা উপহার আত্মসাৎ মামলাটিতে ১৯৯২ সালে ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদের তিন বছরের সাজা দিয়েছিল।

উল্লেখ, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ায় অভিযোগে সেনানিবাস থানায় একটি মামলা করা হয়। ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ মামলাটি করেন। মামলায় এরশাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ১৯৯৪ সালের ২২ নভেম্বর এই মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়ে মামলাটি যেকোনো দিন রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পরে ওই রায় আর ঘোষণা করা হয়নি। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে জাপা চেয়ারম্যানের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মামলাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো আপিল শুনানি শুরু হয়।

গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে মামলাটির আপিল শুনানি শেষ হলে ২৩ মার্চ রায়ের দিন রাখা হয়। কিন্তু এরশাদের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল অনিষ্পন্ন থাকায় সেদিন রায় না দিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস মামলার সব ফাইল প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান। পরে প্রধান বিচারপতি তিনটি আপিল একসঙ্গে নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৯ মে ২০১৭