ব্যাংক ঋণের খেলাপী কেন হয় তা আরো বেশি পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেছেন, খেলাপি ঋণ বড় সমস্যা বলে থেমে থাকলে চলবে না। কেন ঋণ খেলাপি হয় সে বিষয়ে আরো বেশি বেশি পর্যালোচনা করতে হবে। এ বিষয়ে আরো গভীরভাবে কাজ করতে হবে। খেলাপি ঋণ কীভাবে আদায় করা যায়- সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিডিবিএলের অর্জিত মুনাফা থেকে সরকারকে ক্যাশ ডিভিডেন্ট বাবদ ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের হাতে বিডিবিএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী এ চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, বিডিবিএলের ম্যানেজিং ডিরক্টর মনজুর আহমদ, পরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমদ, সালমা নাসরীন এনডিসি, এখলাছুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী বলেন, খেলাপি ঋণ থেকে ফিরিয়ে আসতে চেষ্টা করছে বিডিবিএল। অন্যান্য ক্ষেত্রে ভালো করলেও বর্তমানে বিডিবিএলের বড় সমস্যা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। তবে বর্তমানের পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনা এবং ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও মেধার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাংকটির অন্যান্য কার্যক্রম খুব ভালো হলেও খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিই ব্যাংকটির প্রধান সমস্যা। খেলাপি ঋণের সমস্যা থাকলেও পুঁজিবাজারসহ অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করে ব্যাংকটি লাভ করেছে। গত ২০১৬ সালে ব্যাংকটি মোট ৬৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে মুলত ট্রাম লোনের (মেয়াদি লোন) ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ে। আর বিডিবিএল মূলত ট্রাম লোন দিয়ে থাকে। তাই এ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি। তবে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও মেধা দিয়ে আমরা খেলাপি ঋণের সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭