ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে তারিখবিহীন ও ফাঁকা চেক (Blank Cheque) নিতে পারবে না ব্যাংকগুলো। চুক্তির ভিত্তিতে আগাম চেক জমা নেওয়া হলেও তাতে তারিখ ও টাকার অংকের উল্লেখ থাকতে হবে। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, কনজুমার ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্স এবং স্মল এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্স অনুসারে ঋণ ফেরতের গ্যারান্টি হিসেবে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে চেক জমা রাখে ব্যাংকগুলো।
সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতে ঋণের বিপরীতে অগ্রিম তারিখযুক্ত বা তারিখবিহীন চেককে জামানত হিসেবে গ্রহণের ফলে আইনি জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন স্মল এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্সের সংশ্লিষ্ট ৬ নং ধারায় বর্ণিত প্রত্যেকে কিস্তির জন্য পোস্ট তারিখসহ একটি করে চেক এবং সুদসহ ঋণের সমপরিমাণ অর্থের জন্য তারিখবিহীন আরেকটি চেক গ্রহণের বিধান বাতিল করা হলো।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, এখন ঋণ ফেরতের নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে প্রতিটি কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়ার অনুমতিপত্র গ্রাহকের কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। পোস্ট তারিখযুক্ত চেক জমা নেওয়ার সময় অবশ্য গ্রাহকের সঙ্গে লিখিত চুক্তিপত্র করে নিতে হবে।
ঋণ পরিশোধ সূচি অনুসারে প্রতিটি কিস্তির জন্য নির্ধারিত তারিখ ও কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ অনুসারে বৈধ স্বাক্ষর, তারিখসহ পূর্ণাঙ্গ চেক গ্রহণ করতে হবে। নতুন এই নিয়ম গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের ঋণচুক্তিতে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/১৬ মে ২০১৭