ঋণ জালিয়াতি: বাবুল চিশতীর জামিন মেলেনি

বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংক অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হকের (বাবুল চিশতী) জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) এই আদেশ দেন।

বাবুল চিশতী বর্তমানে কারাগারেই আছেন। ব্যাংকে জালিয়াতির এক ঘটনায় তার এই জামিন আবেদন খারিজ হওয়ায় এখনই কারামুক্তি মিলছে না তার।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মওদুদ আহমদ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

বাবুল চিশতীকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৬ জুন রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এর আগে ২৯ মে বাবুল চিশতীর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি পর ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিশতী। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং ওই রুলের শুনানি নিয়ে আজ জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গত ১০ এপ্রিল বাবুল চিশতীকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতী ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতী তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে অর্থ নগদ ও পে- অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন করেছেন।

গত ৩ এপ্রিল ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ও তার স্ত্রীসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক। ২০১৩ সালের ৩ জুন চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ফারমার্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়।

আজকের বাজার/এমএইচ