একজনের মৃত্যুদন্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন :ব্যবসায়ি আজিজ হত্যা

রাজধানীর লালবাগের ব্যবসায়ি আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদ- ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় জয়নাল সরকার নামে এক আসামির মৃত্যুদন্ড ও রুস্তম আলীর যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দেন আদালত।

এছাড়াও মামলায় আরও দু’আসামি ফারুক ও ইদ্রিসেরর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে ভাঙা কাঁচের ব্যবসা করতেন আব্দুল আজিজ চাকলাদার। তারা দু’জন আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।

১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোটভাই বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ১২ দিন পর মাকসুদ ও আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু মিয়া।

২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন এসআই মো. আব্দুর রাকিব খান সাত জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল সরকার, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।

চার্জশিটভুক্ত সাত আসামির মধ্যে সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০০০ সালের দিকে এ মামলার চার্জগঠন করা হয়।
মামলাটিতে ১৯ জনের মধ্যে রাজসাক্ষি হিসেবে নূরে আলমসহ সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ ও আলামত বিশ্লেষণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হয়।