একটানা দরপতন চলেছে শেয়ারবাজারে

আগের কার্যদিবসের মতো আজও লেনদেনের শুরু থেকেই একটানা দরপতন হয়ে চলেছে শেয়ারবাজারে। রোববার (১১ এপ্রিল) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস প্রথম ১৫ মিনিটের লেনদেনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে গেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮৭৬ পয়েন্ট।

এর আগে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেয়।

এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাবে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা দেয়। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৮২ পয়েন্ট পড়ে যায়।

শেয়ারবাজারে বড় পতন দেখা দেয়ায় একদিন পরেই ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেয়া ৬৬ কোম্পানির বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এই ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দাম একদিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমতে পারবে। বিপরীতে দাম বাড়তে পারবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ।

তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সিদ্ধান্তও পতন আটকাতে পারেনি। রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্য দিয়ে। ফলে প্রথম মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স-এ ৮ পয়েন্ট পড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সূচকের পতন প্রবণতা বাড়ে। এতে ১৫ মিনিটেই সূচকটি ৮৭ পয়েন্ট কমে যায়।

লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৫ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১৯ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৫টির। আর ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২৫ কোটি ৪৫ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৮৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।

ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেয়া ৬৬ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- পিপলস লিজিং, আরএন স্পিনিং, বাংলাদেশ সার্ভিস, আইএফআইএস ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড-১, জাহিন স্পিনিং, রিং শাইন, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, নূরানী ডাইং, রিজেন্ট টেক্সটাইল, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, ইভিন্স টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিম, মেট্রো স্পিনিং, কাট্টলি টেক্সটাইল, ফার কেমিক্যাল, দেশবন্ধু পলিমার, ইয়াকিন পলিমার, সাফকো স্পিনিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালস।

আরও রয়েছে, বিচ হ্যাচারি, সিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিস, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, হামিদ ফেব্রিক্স, প্রাইম টেক্সটাইল, সায়হাম কটন, বাংলাদেশ বিল্ডিং, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, এএফসি এগ্রো, বেঙ্গল উইন্ডোজ, খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, সিলভা ফার্মাসিটিক্যালস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস, আর্গন ডেনিম, কপারটেক, শাশা ডেনিমস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, এস্কয়ার নিটিং, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।

এছাড়া ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, রূপালী ব্যাংক, সায়হাম টেক্সটাইল, সোনারগাঁ টেক্সটাইল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, নাভানা সিএনজি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই, ইউনিক হোটেল, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, উসমানিয়া গ্লাস সিট, খুলনা পাওয়ার, নাহি এলমনিয়াম, দুলামিয়া কটন, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং এম এল ডাইং রয়েছে এ তালিকায়।