বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে একতরফা নির্বাচন করার জন্যই।
শুক্রবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দশ্যে পরিস্কার করে বলতে চাই আপনি যতই ষড়যেন্ত্রের জাল বুনতে থাকুন না কেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না, জনগণ হতে দেবে না।
রিজভী আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করার পরিকল্পনা শেখ হাসিনা অনেক আগেই করেছিলেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা বিগত কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন ‘ খালেদা জিয়ার জন্য কারাগারের সেল প্রস্তত করা হয়েছে।’ সুতরাং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে এটি বোঝার জন্য বেশী কষ্ট করতে হয় না।
খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনার জন্য অসহ্যের কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কখনই খালেদা জিয়ার সাফল্য ও জনপ্রিয়তাকে একেবারেই মেনে নিতে পারেন না। এজন্যই তাকে জনবিচ্ছিন্ন করতে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।
‘হাইকোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা সম্ভব নয়’ গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, তাহলে তিনি ছাত্রদের তুমুল আন্দোলনের মুখে কোটা বাতিলের কথা কেন বলেছিলেন? তখন তো হাইকোর্টের রায় ছিল। তখন তার মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মনে হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শেখ হাসিনার দরদ ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে যে কোন ঘোষণা দেওয়া মানেই তা আইনের সমতুল্য এবং কার্যকর হতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায়নি তারা কোটা সংস্কার চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যে এটা এখন সুস্পষ্ট যে, তিনি ছাত্র আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতেই সেদিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেদিন আমরা বলেছিলাম কোটা বাতিলের ঘোষণা একটা ধাপ্পাবাজি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
আরএম/