মেধার ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রেখে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ নীতিমালা কার্যকর হবে।
তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর যদি কোনো বিশেষ কোটার আবেদনকারী থাকে, সেক্ষেত্রে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসাবে নির্ধারিত কোটায় ভর্তি করা যাবে। এছাড়া মেধা তালিকায় নির্বাচিত হওয়ার পরও ভর্তি নিশ্চিত না করলে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
সোমবার, ৩০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী এবার মোট ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটা রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতিদের জন্য ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরগুলো ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য ২ শতাংশ, বিকেএসপি এবং প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য দশমিক ৫ শতাংশ করে কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য ৯ হাজার টাকা (বাংলা মাধ্যম) ও ১০ হাজার টাকা (ইংরেজি মাধ্যম) ভর্তি ফি নিধারণ করা হবে। সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আবেদন করা যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ প্রদান করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে ২ হাজার টাকা, ঢাকা ব্যতিত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না।
নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন এবং এসএমএস উভয় পদ্ধতিতেই আবেদন করা যাবে।
ভর্তির জন্য অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৩ মে থেকে। আবেদনের শেষ সময় ২৪ মে।
তবে ফল পুনর্নিরীক্ষণের যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ, গতবার ৮৯ শতাংশ সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে বাকি ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর ছাড়া কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে সে আসনগুলো সাধারণ কোটার প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হতো।
রাসেল/