‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ প্রকল্পের আওতায় পরিবর্তন আসছে শিশু পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান দুটি সংরক্ষণে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
৮ নভেম্বর বুধবার গণভবনে স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির এবং উপ-প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া মহাপরিকল্পনাটি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করলে, তিনি তা অনুমোদন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ শীর্ষক তৃতীয় পর্যায়ের মহাপরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। তার সামনে পাওয়ার পয়েন্টে এই মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হলে তিনি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে তা দেখেন এবং কিছু প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন।
স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া জানান, স্বাধীনতা স্তম্ভ, শিখা চিরন্তন এবং শিশু পার্কের প্রবেশ পথ এক পয়েন্টে হবে। এতে ঢুকলেই প্রথমে স্বাধীনতা স্তম্ভ চোখে পড়বে, এরপর দর্শনার্থীরা ইচ্ছেমতো গন্তব্যে যেতে পারবে।
গণভবনে বুধবারের এই অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী উপস্থিতি ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২০ জুন জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম
মোজাম্মেল হক ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্থান ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের স্মৃতি বিজড়িত পাকিস্তানি হানাদারদের আত্মসমর্পণের স্থানটি সরকারিভাবে সংরক্ষণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৮ নভেম্বর ২০১৭