স্বাধীনতার মাসে যারা শহীদ হয়েছেন,বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন,তাদের প্রতি শুরুতেআ জানাচ্ছি আমার অন্তরস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধা। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। শহীদদের যেন বেহেস্ত নসিব করেন। স্মরণ করি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
মহামারীর প্রভাব: কোভিডের জন্য দীর্ঘ দিনের লকডাউন ছিল। লকডাউনের মধ্যে আমাদের যাতায়াত,মানি ট্রানজেকশন বন্ধ ছিল। এই বন্ধের মধ্যে আমাদের ইন্সুরেন্স শিল্প ব্যবসায়িক বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শুধু ইন্সুরেন্স শিল্প নয়, সব ক্ষেত্রেই ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বর্তমানে কয়েক মাস থেকে আমরা গতি ফিরে পেয়েছি। করোনাকালীন সময়ে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা দেশের জনগণকে সেবা প্রদান করেছি। এই সময় মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস সচল রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স পরিবার সবসময় একাগ্র ভ্রাতৃত্বে আবদ্ধ থাকার চেষ্টা করেছে।
জাতীয় বীমা দিবস: আপনারা সবাই জানেন পহেলা মার্চ কেন জাতীয় বীমা দিবস গঠিত হলো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের পহেলা মার্চ আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। এই দিনটিকে স্মরণীয় রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বীমা শিল্পকে পহেলা মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বীমা পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অন্য কোনো শিল্প কিন্তু এখনো জাতীয় দিবস পায়নি। তাই পহেলা মার্চ জাতীয় বীমা দিবস প্রাপ্তি আমাদের জন্য সৌভাগ্য মনে করি।
পহেলা মার্চ মন্ত্রণালয় ও আইডিআর-এর যৌথ উদ্যোগে বীমা দিবস উদযাপিত হবে। বীমা দিবস উপলক্ষে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের পরিকল্পনা হচ্ছে,সরকার ও আইডিআর-এর নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন করা। এর আগেও আমরা প্রতিপালন করেছি। বীমা দিবসে আমাদের কার্যক্রমগুলোর মধ্যে থাকে-ভবন সাজানো,রেলি করা,পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া,মাস্ক-সেনিটাইজার বিতরণ ইত্যাদি। ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন মেনেই আমরা সব কাজ করে থাকি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করব। জাতীয় বীমা দিবসে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স পরিবারের পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভেচ্ছা ও সুস্থতা কামনা করি।
গ্লোবাল ইকোনমিক অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি: ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল ইকোনমিক অ্যাওয়ার্ড ২০২১ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশসহ ১১৪টি দেশকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে পুরস্কৃত করা হয়। বাংলাদেশ থেকে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। আমাকে জেনারেল ইন্সুরেন্স খাতে বেস্ট সিইওর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। আমি এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আনন্দিত। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পেরেছি, এ জন্য আমি গর্বিত।
পুঁজিবাজারে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স: চলতি বছরে আমরা পুঁজিবাজারে লিস্টেড হয়েছি। আপনারা অবগত আছেন, পুঁজিবাজারে ইন্সুরেন্স কোম্পানি অন্যান্য লিস্টেড কোম্পানির তুলনায় ভালো প্রাইসে আছে। ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের পরিকল্পনার মধ্যে বর্তমানে ডি, আর টাওয়ারে এই ফ্লোর ক্রয় করেছি। আরো ফ্লোর ক্রয় করার পরিকল্পনা আছে। কক্সবাজারে ব্রাঞ্চ উদ্বোধন করেছি। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট পলিসিগুলো অ্যাডোব করব, যাতে বেশি প্রফিট হয়। যার ফলে আমাদের শেয়ারহোল্ডার প্রতি বছর ভালো ডিভিডেন্ড পাবেন।
এক ঘন্টায় বীমা দাবি পরিশোধ: ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স এর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, এক ঘন্টায় আমি ক্লেইম পরিশোধ করেছি। আমি মনে করি, শুধু ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি নয়, এটা ইন্সুরেন্স ইন্ডাস্ট্রির রেকর্ড। ক্লেইম এসেছে, এক ঘন্টায় আমি ক্লেইম পরিশোধ করেছি। এটাই আমাদের সার্ভিস। আমারা ইন্সুরেন্স হোল্ডারকে তার ক্লেইমটি এক ঘণ্টার মধ্যে সেটেলড করতে পেরেছি,এটাই আমার সেবা। শুধু ব্যবসা করলেই হবে না, মানবতার দিকেও এগিয়ে আসতে হবে। বীমা মানেই হচ্ছে জনগণকে সাহায্য করা। সম্পদের নিরাপত্তা দেয়া। ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে।
তালুকদার মো. জাকারিয়া হোসেন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড