এক নজরে অনুমোদন পাওয়া ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ভ্যাট আইনসহ ১৪ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়ন (ভ্যাট অনলাইন) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯০ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এক নজরে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প:

এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৬৯০.১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২৪০.৩৯ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪৪৯.৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্প সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক।

এটি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি অক্টোবর, ২০১৩ হতে ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত মেয়াদকালে বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্প এলাকা: ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ

প্রকল্পের পটভূমি: অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ কার্যক্রমের ইতোমধ্যে শুল্ক ও আয়কর অনুবিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এরই ধারাবাহিকতায় মূল্য (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা, কার্যক্রম ও প্রশাসন কম্পিউটারাইজড এবং অটোমেশন করার লক্ষ্যে প্রকল্প সাহায্য মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (VAT: Online) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, বর্ণিত প্রকল্পটি মোট ৫৫১.৫৯ কোটি টাকা (জিওবি ১০১.৮৪৩৮ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাংক সাহায্য ৪৪৯.৭৪৪০ কোটি টাকা) প্রাক্কলিত ব্যয়ে অক্টোবর ২০১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর গত ০৮/১০/২০১৩ তারিখের বৈঠকে অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে প্রকল্পটির ১ম সংশোধনের প্রস্তাব মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী কর্তৃক ০৮/১০/২০১৪ তারিখে অনুমোদিত হয়। এরপর প্রকল্পের ব্যয় ২৫.১১% বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নকাল ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বৃদ্ধিসহ প্রকল্পটির ২য় সংশোধনের প্রস্তাবের উপর পরিকল্পনা কমিশনে ০৬/০২/২০১৭ তারিখে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি)-এর সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) এর সভার ৪.৩নং সিদ্ধান্ত ছিল : আইএমইডির সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মহা-পরিচালকের নেতৃত্বে ইআরডি, পরিকল্পনা কমিশন, আইআরডি, এনবিআর এবং প্রকল্প কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয়ে প্রকল্পের ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আরডিপিপি পুনর্গঠন করে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করতে হবে।সে অনুযায়ী আলোচ্য প্রকল্পটির ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ করা হয়েছে। সে আলোকে আরডিপিপিও পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত আরডিপিপির উপর গত ২৯/১০/২০১৭ তারিখে পুনরায় পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর ধারাবাহিকতায়, ২য় সংশোধিত প্রকল্পটি মোট ৬৯০.১৩ কোটি টাকা (জিওবি ২৪০.৩৯ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪৪৯.৭৪ কোটি টাকা) প্রাক্কলিত ব্যয়ে অক্টোবর ২০১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ

ভ্যাট সম্পর্কিত আইনের ফাঁক-ফোকর দূর করে ভ্যাট রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট প্রশাসনকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়ন; নতুন ভ্যাট আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে ব্যবসা পরিচালনা সুলভ ও সহজতর করা; কর প্রদান করে না এমন ব্যক্তিদের সনাক্তকরণ ও এনবিআর-এর লেনদেনের সক্ষমতা বৃদ্ধি; আধুনিক, সুশৃঙ্খল ও সেবাভিত্তিক ভ্যাট প্রশাসন চালু করা; জ্ঞান ভিত্তিক ভ্যাট প্রশাসন তৈরি; দেশে শিল্পায়নের দ্রুত প্রসারে সহায়তা করা; সরকারি ও বেসরকারি খাতে ব্যবসা শুরুর সময় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি ও ব্যবসা পরিচালনা; অধিক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে অধিকতর বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রমঃ

অফিস ভাড়া (১২৫০০ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট অফিস ৫ বছরের জন্য); যানবাহন ভাড়া-৬টি; প্রচার ও বিজ্ঞাপন; ট্যাক্সপেয়ার এ্যাডভার্টাইজিং ক্যাম্পেইন; গবেষণা; ভ্যাট এ্যাপস তৈরি; সফট্ওয়্যার তৈরি; প্রশিক্ষণ; পরামর্শক সেবা সংগ্রহ; সম্পদ সংগ্রহ; যানবাহন সংগ্রহ-৪টি; নতুন ভ্যাট ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আইটি অবকাঠামো সংগ্রহ; প্রকল্প অফিসের জন্য অফিস ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ; এবং মাঠ পর্যায়ের অফিস রিফারবিশমেন্ট ও অফিস সমূহের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা ইত্যাদি।

আজকের বাজার:এলকে/ ২৩ জানুয়ারি ২০১৮