এক মাস ধরে বাড়ছে স্বর্ণের দর

মার্কিন রাজনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তায় দুর্বল হয়ে পড়ছে ডলার। আর এর প্রভাব পড়ছে স্বর্ণ বাজারে। ২৪ জুলাই সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটি গত ৪ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক সংস্কার বিশেষ করে ট্যাক্স সংস্কার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠেছে। এর ফলে বিশ্বের প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম কমছে। গত ১৩ মাসে সর্বনিম্ন স্থানে অবস্থান করছে ডলার।

সাধারণত ডলার শক্তিশালী হলে স্বর্ণের দর বাড়ে। আর ডলার দুর্বল হলে দর কমে।

তাছাড়া রাজনৈতিক বা আর্থিক কোনো অস্থিরতা দেখা দিলেও এই পণ্যটির দর বাড়ে। কারণ এসময় এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে যায়। স্বর্ণকে তখন মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ ভাবে।

টোকিওতে আইসিবিসি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ক্ষমতাসীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কি ঘটাতে যাচ্ছে, তা নিয়েই মনে হয় বিনিয়োগকারীরা একটু দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে সতর্কও।

খবরে বলা হয়, শেষ কার্যদিবসে আগামীতে ডেলিভারি হতে যাওয়া স্পট গোল্ড বিক্রি হয় আউন্সপ্রতি ১ হাজার ২৫৪ ডলার (এক আউন্স=২.৪৩ ভরি)। আজ বাজারের শুরুর দিকে তা আরও বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২৫৭.১৮ মার্কিন ডলার। গত সপ্তাহে পণ্যটির দর ২.১ শতাংশ বেড়েছে।

জেফারি হ্যালি নামের এক বাজার বিশ্লেষক বলছেন, আমরা মনে করছি, এবার স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি- বাজুস। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস; আর কম থাকলে দাম কমানো হয়।

সমিতির তথ্য মতে, দেশের বাজারে এখন প্রতি ভরি ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৪৫ হাজার ৮৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৩ হাজার ৮৫৭ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ভরিপ্রতি ২৬ হাজার ১২৭ টাকা।