এক লাখ টন সার আমদানির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

আসন্ন মৌসুমকে সামনে রেখে সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ১ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর হয়ে এ সার সরকারি গুদামে মজুদ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুইটি পৃথক প্রস্তাবণা অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, কমিটির বৈঠেকে সরকারি গুদামে সারের মজুদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এক লাখ টন সার আমদানির প্রস্তাবণা অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার ২৫ হাজার টন এবং ব্যাগড গ্রানুলার সার রয়েছে ৭৫ হাজার টন।

তিনি বলেন, ২৫ হাজার টন প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করতে প্রতি টনের দাম ৩১৯ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এই সার মংলা বন্দর দিয়ে সরবরাহ করা হবে। অপর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ৭৫ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টনের দাম ৩১৯ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১৯২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। চট্রগ্রাম বন্দর দিয়ে এ সার আমদানি করা হবে।

এছাড়া চলতি অর্থ বছরের জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে ১৪ লাখ টন ক্রুড ওয়েল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। সৌদি আরব ও আবুধাবি থেকে সরকারি পর্যায়ে এ তেল আমদানি করা হবে। এজন্য চার হাজার ৯০১ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি আরও জানান, বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য বিভিন্ন প্রকার জলযান নির্মান’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২ টি টাগ বোর্ড ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এজন্য ব্যয় হবে ১৪১ কোটি টাকা। নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা শীপ ইয়ার্ড টাগ বোট দুইটি সরবরাহ করবে।

এছাড়া ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশন পুনর্বাসন এবং কশিয়ানী-গোপালঞ্জ-টুঙ্গীপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৮০ মিটার লম্বা একটি ব্রীজ নির্মান কাজের জন্য টার্নকি ভিত্তিতে বিভিন্ন মালামাল ও শ্রমিক সরবরাহের জন্য চুক্তির অতিরিক্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দরপত্রে ব্যয় ৭৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ধরা হলেও পাঁচ কোটি ৬৯ লাখ টাকার কাজ বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৭৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

বৈঠকে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাইজিং ইম্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (ডিআইএমএপিপি) প্রকল্পের আওতায় ‘অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব ই-জিপি সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক পরামর্শক সেবা সংক্রান্ত ক্রয় চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

আজকের বাজার: সালি/ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭